আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭৬ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে এ ঋণ অনুমোদন করা হয়।
মেজবাউল হক বলেন, ‘কিস্তির ৪৭৬ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার ইতোমধ্যেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ হয়েছে। গতকাল রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। আজ তা বেড়ে ৩২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।’
গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪৪ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। তবে করোনা মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সময় রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ায় সারাবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশও সংকটে পড়ে। কমতে থাকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
এ অবস্থায় আইএফএমের দ্বারস্থ হয় বাংলাদেশ। গত বছরের ২৪ জুলাই ঋণ চেয়ে আইএমএফের কাছে চিঠি দেয় বাংলাদেশ। আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছায় সংস্থাটি।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ঋণ অনুমোদনের পর আইএমএফ বলেছে, এই ঋণ দেশটির সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা অক্ষুন্ন রাখা, দুর্বলকে সুরক্ষিত করা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশ সম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে।