ঢাকাস্থ অস্ট্রেলীয় হাইকমিশন এক সংবর্ধনা আয়োজনের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া দিবস উদযাপন করেছে। অনুষ্ঠানে ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশী নারীদের সাফল্য ও অর্জনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ের মঙ্গলবার রাতে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা নারীর ক্ষমতায়নের পুরোধা এবং সারা বাংলাদেশের লাখ লাখ নারী ও মেয়েদের রোল মডেল হিসেবে তাদের কৃতিত্ব উদযাপন করি।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়া ব্যাডমিন্টন, সাঁতার, শ্যুটিং, ভারোত্তোলন ও তীরন্দাজির নেতৃস্থানীয় বাংলাদেশী ক্রীড়াবিদদের পাশাপাশি বিকেএসপি মহিলা দলের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
হাইকমিশনার অস্ট্রেলিয়া দিবসকে আধুনিক, বহুসংস্কৃতির অস্ট্রেলিয়া উদযাপনের একটি উপলক্ষ্য হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, কমনওয়েলথ ঐতিহ্য ও দৃঢ় সম্পর্কের অংশীদার অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ পুরনো বন্ধু।
হাইকমিশনার বলেন, ‘১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলোর অন্যতম হতে পেরে অস্ট্রেলিয়া গর্বিত।’
হাইকমিশনার বলেন, অস্ট্রেলিয়া একটি ‘নিরাপদ, সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তুলতে বাংলাদেশের সাথে তার প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদারে আগ্রহী।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে আমরা একজন আবাসিক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টার অধীনে বাংলাদেশে একটি প্রতিরক্ষা কার্যালয় স্থাপন করেছি।’
হাইকমিশনার বলেন, উচ্চমানের পণ্য ও সেবার চাহিদা বেড়ে চলায় অস্ট্রেলীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমেই বাংলাদেশে ব্যবসা করতে আগ্রহী হচ্ছে।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে টেক্সটাইল ও পোশাক, পশমের মত কৃষি পণ্য, কৃষি ব্যবসা, মৎস্য, খাদ্য ও পানীয়, খনিজ, উৎপাদন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং শিক্ষা সেবায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনার আরও সুযোগ দেখতে পাচ্ছে।
মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের সদস্য, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ব্যবসা, উন্নয়ন, মানবিক সেবা, রাজনৈতিক ও বেসামরিক নেতৃবৃন্দ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।