স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে রাজনীতি থেকে নির্মূল করতে সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা।
তারা বলেন, দেশের উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বিএনপি-জামায়াতকে রাজনীতি থেকে সরাতে হবে। কারণ এই সব অপশক্তিই দেশের উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়।
রোববার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপড় আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা একথা বলেন।
সংবিধান অনুযায়ী গত ৫ জানুয়ারি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে রাষ্ট্রপতি এ ভাষণ দেন। রীতি অনুযায়ি এ ভাষণ সম্পর্কে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রস্তাবটি সমর্থন করেন সরকারি দলের সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার।
ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার দশম দিনে অংশ নেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুর রহমান, সরকারি দলের সদস্য বেগম সিমিন হোসেন (রিমি), ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, মৃনাল কান্তি দাস, মো. শফিকুল আজম খাঁন, বি, এম, কবিরুল হক, আহসানুল ইসলাম (টিটু), নাহিদ ইজাহার খান, জিন্নাতুল বাকিয়া, রুমানা আলী ও ফেরদৌসি ইসলাম।
তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যোগাযোগ, আর্থ-সামাজিক, শিক্ষা, যুব ও ক্রীড়া, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ (আইসিটি) বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোহাম্মদ এনামুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার যখন জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তখন বিএনপি-জামায়াত চক্র আবারও নির্বাচিত সরকারকে পতনের ষড়যন্ত্র করছে।
সরকারি দলের সদস্য মৃণাল কান্তি দাস বলেন, বিএনপি-জামায়াত জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও মানবতাকে সুসংহত করার জন্য এই অপশক্তিকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে।
এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিই সমৃদ্ধির মহাসড়কে প্রধান বাধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি নেতা তারেক রহমান এখন দেশ বিরোধীদের প্রধান আশ্রয়স্থল।
সিমিন হোসেন (রিমি) বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দেশ বৈশ্বিক মন্দার মুখে পড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, বিএনপি এখন রাষ্ট্র সংস্কারের ২৭ দফা সনদ ঘোষণা করে দেশকে পাকিস্তানের মতো অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে তারা আবারো দেশকে পাকিস্তানী ধারায় ফিরিয়ে নিতে চায়।
তিনি বলেন, যেহেতু তাদের সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা নেই, তেমনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিও তাদের শ্রদ্ধা নেই।