পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রদূতকে ‘স্বতঃস্ফূর্তভাবে’ সব ধরনের বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণার জবাব দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘(বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে জবাব পেতে ঢাকার দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। আপনারা দেশের (বাংলাদেশ) প্রতিনিধিত্ব করছেন, তাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে জবাব দিন।’
কখনো কখনো বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জবাব দিতে ঢাকার অনুমতি বা অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,‘আমার সকল মিশন আমার মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ… আমাদের একটি টিম হিসাবে কাজ করতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার সন্ধ্যায় বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ভার্চ্যুয়ালি বক্তৃতাকালে ২০২৩ সালে সরকারের পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকার বিষয়সমূহ এবং পালনীয় নির্দেশনা তুলে ধরেন।
এদিকে, সরকার ‘সমন্বিত উপায়ে’ দেশে-বিদেশে ‘সরকার বিরোধী অপপ্রচার’ মোকাবেলা করতে এবং সঠিক তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র ও আইন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে।
রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বানোয়াট ও ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সম্পর্কে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের কার্যকর উপায় খুঁজতে সমন্বয় কমিটির সদস্যরা নিয়মিত বৈঠক করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকার ততটা চিন্তিত নয় উল্লেখ করে বলেন, নির্বাচন যথাসময়ে ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন করার সময়ই ‘নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা জনগণকে বিশ্বাস করি। সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। ’