আসছে মৌসুমের জন্য মজুত বাড়ানোর ধারাবাহিকতায় নতুন করে ৬০ হাজার টন সার আমদানি করবে সরকার। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৩০৭ কোটি টাকা। এ সম্পর্কিত দুটি পৃথক ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিজিপি)। এ ছাড়া তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন প্যাকেজের ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন দেয় কমিটি।
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
সাঈদ মাহবুব খান জানান, ক্রয় কমিটির সভায় মোট ৯টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে সবকটি অনুমোদন দেওয়া হয়। মোট অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ৪০৫ কোটি ৪৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৯৩২ কোটি ১৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা এবং এডিবি, জাইকা ও দেশীয় ব্যাংকঋণ ১ হাজার ৪৭৩ কোটি ২৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
সাঈদ মাহবুব বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মাধ্যমে মরক্কোর ওসিপি, এসএ থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ১৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের মাধ্যমে আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৫৩ কোটি ৬০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় এসব সার কেনা হবে।
ক্রয় কমিটিতে তিনটি প্রকল্পের কয়েকটি প্যাকেজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি’র প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের ৫টি প্যাকেজে ৪২৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয় হবে। ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই সেবা নেওয়া হবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডর সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পের একটি লটের পূর্তকাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।