পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের মেরুকরণের প্রচেষ্টা চলাকালে ক্ষমতাধর দেশগুলোর মতো কৌশলগত গবেষণার ক্ষেত্রে আরও গবেষণা করার উপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ক্ষমতাধর দেশগুলো সুদক্ষ গবেষণা এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সুবিধা উপভোগ করে… সঠিক তথ্য ও গভীর পর্যবেক্ষণসহ কৌশলগত গবেষণা সরকারগুলোকে টিকে থাকা এবং উন্নতির কৌশলগুলোর পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহায়তা করতে পারে।
মঙ্গলবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে আয়োজিত বিআইআইএসএস রিসার্চ কলোকিয়াম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কৌশলগত বিষয়ের ওপর গবেষণা ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি, একটি জাতির ঝোঁক এবং এর রাজনৈতিক জোটবদ্ধতার কৌশলগুলোর মতো একাধিক দৃষ্টিকোণ থেকে আড়ালে থাকা সুযোগগুলো উপলব্ধি করতে সহায়তা করে।
মোমেন বলেন, ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক ও জটিল বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে বিশেষ করে এই সময়ে পরিবর্তিত পরিবেশে কৌশলগত গবেষণার ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অববাহিকার দেশ হিসেবে আমাদের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান আমাদের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে প্রভাব রাখে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নতুন নতুন গ্রুপ ও ব্লক গড়ে উঠছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের ওপর ক্রমবর্ধমান জলবায়ু বিপর্যয়ের প্রভাব পড়ছে এবং উগ্রবাদ ও নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন উদ্ভূত বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বর্তমান বাংলাদেশ সরকার আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করতে আন্তর্জাতিক মূলধারায় দৃশ্যমান উপস্থিতির মাধ্যমে একটি সূচনা ও সুপরিকল্পিত ভূমিকা পালন করেছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মানবিক কূটনীতির সফল ও বাস্তবসম্মত প্রয়োগ বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার অনুকরণীয় ভূমিকা সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, সরকার একটি শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নীত করতে সফলভাবে পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতির মাধ্যমে প্রতিবেশী ও অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করেছে।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে পেরেছে।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সফল কূটনীতির কারণেই এটি (উত্তরণ) সম্ভব হয়েছে।