যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে তাহলে রাশিয়ার জন্য তা হবে বৈধ লক্ষ্যবস্তু। বুধবার রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য করা হয়েছে। এর ফলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, ইউক্রেন অত্যাধুনিক অস্ত্র পেলেও রাশিয়া হামলা চালিয়ে যাওয়া থেকে পিছু হটবে না।
বুধবার একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। বৃহস্পতিবার নাগাদ এই সামরিক সহযোগিতা প্রদানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।
রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপ-প্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ গত মাসে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় তাহলে অবিলম্বে সেগুলো রাশিয়ার বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। তার মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বুধবার ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, মার্কিন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা হামলার জন্য রাশিয়ার একটি বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে। তবে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগ পর্যন্ত তিনি মন্তব্য করতে চান না। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে অনির্ভরযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে পিছু হটার পর ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা জোরদার করেছে। এসব হামলা থেকে প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টে ভলোদিমির জেলেনিস্ক যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের কাছে আকাশ প্রতিরক্ষার জন্য অস্ত্র সহযোগিতা চেয়ে আসছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, ইউক্রেনে একটি প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি পাঠানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের। একটি ট্রাকে বসানো প্যাট্রিয়ট ব্যাটারিতে আটটি লঞ্চার থাকে, প্রতিটি লঞ্চারে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র রাখা যায়।
মার্কিন সেনাবাহিনীর মতে, পুরো ব্যবস্থার রাডার, কন্ট্রোল স্টেশন, কম্পিউটার ও জেনারেটর মিলিয়ে এটি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৯০ জন সেনা প্রয়োজন হয়। কিন্তু মাত্র তিনজন সেনা ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে পারবেন।