ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক মাত্রায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। গত আট সপ্তাহে অষ্টমবারের মতো এ ধরনের হামলা চালাল রুশ বাহিনী। এর ফলে অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে, বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন জ্বালানি অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের ওডেশা আগে থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এদিকে এসব হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করছে ইউক্রেন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ হামলার দুই সপ্তাহ আগে একটি হামলা চালানো হয়েছিল। তবে অন্যান্য হামলার চেয়ে এ হামলায় কম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, বিদ্যুৎ সরবরাহ ফেরাতে ব্যাপক চাপে রয়েছেন ইউক্রেনের প্রকৌশলীরা। এর মধ্যে ফের ক্ষতির সম্মুখীন হলো বিভিন্ন স্থাপনা। এর ফলে কিছু অঞ্চল আবারও হিমশীতল আবহাওয়ার মধ্যেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে গেছে।
এদিকে ইউক্রেন বলছে, রুশ বাহিনীর ছোড়া ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৬০টি ভূপাতিত করেছে তারা। অন্যদিকে মস্কো বলছে, তারা তাদের ১৭টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পেরেছে।
ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধের ময়দানে রুশ নাগরিকরা
গতকাল সোমবার রাতে এক ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘রুশ হামলায় প্রতিবেশী দেশ মলদোভাতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রমাণ হয়, রাশিয়ার এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা শুধু ইউক্রেনের জন্য নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য হুমকি।’
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, দক্ষিণ-মধ্য রাশিয়ার রিয়াজান ও সারাতোভের দুই বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় তিন সেনা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন চারজন। সেইসঙ্গে দুটি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।