অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ আটে পা রাখলো আর্জেন্টিনা।
হারলেই বিদায়। জিতলেই শেষ আট। এমন সমীকরণকে মাথায় রেখে রাত একটায় আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে মাঠে নেমেছিলো দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া।
মেসির মাইলফলক ছোঁয়া ম্যাচে আর্জেন্টিনা উড়িয়েছে বিজয়ের পতাকা। মেসির পা ছুঁয়ে ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল পায় আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধে আলভারেস ব্যবধান দ্বিগুন করেন। এরপর অস্ট্রেলিয়া এক গোল শোধ দিলেও শেষ হাসিটা হাসতে পারেনি। ষোলো বছর পর দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলেও অস্ট্রেলিয়ার পথ আটকে গেল এখানেই।
ম্যাচটা পুরোটাই ছিল মেসিময়। নিজে গোল করেছেন। একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণ এতোটাই জমাট ছিল যে দ্বিতীয় গোল পেতে মেসিকে কাঠখোড় পুড়াতে হয়েছে। গোলরক্ষক রায়ান একাধিক গোল ফিরিয়েছেন। রক্ষণের খেলোয়াড় বল ক্লিয়ার করে তাকে রুখে দিয়েছেন। পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে গোল করার সুযোগও তৈরি করেছিলেন। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে ব্যবধান বাড়েনি।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে মেসির বাঁ পায়ের জাদুতে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের ভেতরে বাঁ পায়ে শট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণ চূরমার করে গোল করলেন আর্জেন্টাইন জাদুকর।
ডি বক্সের কাছে ফ্রি কিক পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। মেসির নেওয়া শট ফিরিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার সাউটার। কিন্তু বল নাগালেই ছিল। মেসি ফিরতি পাসে বল দেন ডি পলকে। তার থেকে আবার বল পেয়ে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের মাটি ঘেঁষা শটে গোল করেন।
নিজের পঞ্চম ও শেষ বিশ্বকাপ খেলতে এসে নক আউট পর্বে প্রথম গোল করলেন মেসি। এর আগে বিশ্বকাপে মেসির ৮ গোলের প্রতিটিই ছিল গ্রুপ পর্বে।
মেসির গোলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
অস্ট্রেলিয়ার গোলরক্ষকের ভুলে দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে তরুণ জুলিয়ান আলভারেস ব্যবধান বড় করলেন।
বক্সের মধ্যে বল নিয়ে কাড়িকুড়ি করতে গিয়ে দুই আর্জেন্টাইন ফুটবলারের সামনে পরে যান ম্যাট রায়ান। একজনকে কাটাতে পারলেও আলভারেসকে এড়াতে পারেননি রায়ান। তার পা থেকে বল ছিনিয়ে ফাঁকা বারে গোল করেন আলভারেস।
অস্ট্রেলিয়া প্রথমার্ধে নিজেদের হারিয়ে খুঁজলেও দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ লড়াই করেছে।
ক্রেইগ গুডউইনের গোলে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের ৭৭ মিনিটে এক গোল শোধ দিল। তবুও ২-১ গোলে লিড নিয়ে এগিয়ে আছে আর্জেন্টিনা। দূরপাল্লার শটে গুডউইন গোল করে ব্যবধান কমিয়েছেন। তার নেওয়া শট এনজো ফার্নান্দেজের মুখে রিফ্লেক্ট করে আর্জেন্টিনার জালে জড়ায়। মিনিট পাঁচেক পর অস্ট্রেলিয়া আরেকটি সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু রক্ষণের খেলোয়াড়ের পা ছুঁইয়ে কোনোমতে গোল হজমের থেকে বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা।
শেষ দিকে আরেকটি গোল প্রায় দিয়েই দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু গোলরক্ষক মার্টিনেজ দারুণ দক্ষতায় বল আটকে দেন।