আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে, আগুন সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের পৃষ্টপোষকতা করা। সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। কয়েকদিন আগে কাঁচ পুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ঢাকা সিলেট সড়কের ভিত্তি প্রস্তর রাতের অন্ধকারে পুড়িয়ে দিয়েছে। গত পরশুদিন রাত ১২টার পরে মতিঝিলে বিআরটিসি একটি দো-তলা বাস ভয়াবহভাবে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে ৫টায় বসুরহাট হাইস্কুল মাঠে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন
তিনি বলেন, বিএনপি জানান দিয়েছে যে, তারা আন্দোলনে সহিংসতার পদাংক অনুসরণ করবে। আমরা ক্ষমতায় আছি, অশান্তি চাই না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বর মাসের ৮তারিখে। বিএনপির ১০ডিসেম্বর গণ সমাবেশের কারণে তা পিছিয়ে ৬ ডিসেম্বর এনেছে। বাস মালিকদের অনুরোধ করেছি তারা যেন বিএনপির সমাবেশের সময় ধর্মঘট না করে।
এসময় ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডে মদদ দিয়েছে। আর তারেক রহমান ২০০৪ সালের ২১শে আগষ্ট হাওয়া ভবনে বসে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। তারেক রহমান বলেন, আমরা নাকি সবাই দেশ ছেড়ে পালাবো। পালিয়ে গেছেতো তারেক, ২০০৮ সালে রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়েছে।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, বিগত ২ বছর কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলে সাংবাদিক মুজাক্কির ও সিএনজি চালক আলা উদ্দিন নিহত হয়েছে। আমি তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানুষ যে সীমাহীন কষ্ট, আতংক ও যন্ত্রনা সহ্য করেছে, তার জন্য আমি কোম্পানীগঞ্জ বাসীর কাছে ক্ষমা চাই। ক্ষমা মহত্বের লক্ষণ। আমি আমার ভাই কাদের মির্জা ও নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরীকে ক্ষমা করে দিয়েছি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দের উচিত হবে কোম্পানীগঞ্জের ব্যবসায়ী ও জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম খাইরুল আনম চৌধুরী সেলিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, সম্পাদক সম্পাদক এস.এম কামাল হোসেন, আ’লীগের কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দি, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদ উল্যাহ খান সোহেল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহাব উদ্দিন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, মাহবুব রশিদ মঞ্জু। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, সঞ্চালনা করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী।
সম্মেলনের শেষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিক্রমে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন।