ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় একটি শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ আগুনে ১০ জন শিশুসহ কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন।
গাজার একটি হাসপাতালের পরিচালক ডা. সালাহ আবু লায়লা জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকার ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থী শিবিরের একটি ভবনে আগুন লেগে ১০ শিশুসহ অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
স্থানীয় একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানায়, শরণার্থী শিবিরের একটি রান্নাঘর থেকে গ্যাস লিক হয় এবং সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
জাবালিয়া শরণার্থী শিবির গাজার মোট আটটি শিবিরের একটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে পুরো ভবনটি আগুনে পুড়ছে।
এছাড়া জ্বলন্ত ভবনের বাইরে লোকজনকে চিৎকার করতে দেখা গেছে। এমনকি সেখানে নিহতদের স্বজনদের রাস্তায় কাঁদতে এবং প্রার্থনা করতেও দেখা গেছে।
ঘটনাস্থলে ছুটে আসা এক স্থানীয় বাসিন্দা জানায়, জেনারেটর চালানোর জন্য শরণার্থী শিবিরের ওই বিল্ডিংটিতে পেট্রোল সংরক্ষণ করা হয়েছিল।
পশ্চিম তীর-ভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এটিকে জাতীয় ট্র্যাজেডি বলে অভিহিত করেছেন এবং শুক্রবার দিনকে শোক দিবস ঘোষণা করেছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ টুইট করে বলেছেন, তার কর্মীরা ‘আহতদের (ইসরায়েল) হাসপাতালে মানবিকভাবে সরিয়ে নিতে’ সহায়তা করবে।
বিবিসি বলছে, বিদ্যুতের ভয়াবহ ঘাটতির ফলে গাজায় প্রায়ই মোমবাতির কারণে আগুন লেগে যাওয়া নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই উপত্যাকায় ২৩ লাখ মানুষের বসবাস, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার ঘনত্বের একটি।