যুবলীগের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশের উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ দুপুর পৌনে ৩টার দিকে বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে এ সমাবেশের উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামশ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এদিকে আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষে গণসমাবেশে নেতাকর্মীরা রং-বেরঙের পোশাক আর ক্যাপ পড়ে এসেছেন। কেউ সবুজ, কেউ হলুদ, লাল, নীল, গোলাপি রংয়ের টি শার্ট পড়েছে। কেউবা পড়েছে বিভিন্ন রংয়ের ক্যাপ। রং-বেরঙের পোশাক আর ক্যাপে সমাবেশস্থল যেন অন্য রকম রূপ ধারণ করেছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে জড়ো হচ্ছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। দুপুর আড়াইটায় শুরু হওয়া যুব মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
দুপুর আড়াইটায় শুরু হওয়া সমাবেশে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন জেলা ও থানা থেকে নেতাকর্মীরা এসে উপস্থিত হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, মল চত্বর, ভিসি চত্বর, শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তার আশপাশের এলাকা। এছাড়াও ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকা থেকে এখনও আসছে নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা। নিজ নিজ এলাকাভিত্তিক ভাগ হয়ে ক্যাম্পাসে ও তার আশাপাশের এলাকায় মিছিল শোডাউন করছেন উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা।
সমাবেশকে ঘিরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মাণ করা হয়েছে সুবিশাল প্যান্ডেল। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের পাশে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি যুবলীগের পতাকা শোভা পাচ্ছে। এ সমাবেশের মধ্য দিয়ে মাঠ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সংগঠনটির নেতারা।
যুব মহাসমাবেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। গত বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আশা প্রকাশ করেন।