ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বড় শহরগুলোতে ব্যাপকমাত্রায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে ৫০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া।
এতে রাজধানী কিয়েভসহ সারাদেশে বিদ্যুৎ ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে। কিয়েভের ৮০ ভাগ বাসিন্দা এখন পানির সংকটে আছে। প্রায় সাড়ে তিন লাখ অ্যাপার্টমেন্টে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
কিয়েভ পোস্টের খবরে বলা হয়, ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা সোমবার সকালে ইউক্রেনের আকাশে অন্তত ৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছেন। রাশিয়া তাদের অত্যাধুনিক টিইউ-৯৫ ও টিইউ-১৬০ বোমারু বিমান দিয়ে ৫০টির বেশি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর মধ্য থেকে কিয়েভের আকাশে অন্তত দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, কিয়েভে কমপক্ষে দুটি বিস্ফোরণের খবরের তথ্য জানিয়েছেন শহরের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো। তিনি বলেছেন, রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে রাজধানীর আংশিক এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি পানি সরবরাহ ব্যবস্থাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে তিনি জানান। ক্লিচকো জানান, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিদ্যুৎ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে প্রায় সাড়ে তিন লাখ অ্যাপার্টমেন্টে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে বিদ্যুৎ ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ক্রিমিয়ায় রুশ নৌবাহিনীর কৃষ্ণসাগর বহরে ইউক্রেন ড্রোন হামলা চালানোর একদিন পরই মস্কো এসব হামলা চালালো।
এদিন মধ্য ইউক্রেনের ভিনিৎসিয়া অঞ্চলেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নিপ্রোপেত্রোভস্ক ও যাপোরিযিয়া এবং পশ্চিমে লাভিভ শহরে হামলা হয়েছে।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলকে দেশটির বিমান বাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইহনাত বলেন, হামলা চালাতে নিজেদের কৌশলগত বোমারু বিমান ব্যবহার করেছে রাশিয়া।
সূত্র রয়টার্স।