টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচেই বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারালো গত বারের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড। বোলিং-ব্যাটিং কোনো কিছুতেই এদিন কিউইদের কাছে পাত্তা পায়নি স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। আর ২০১১ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম জয়ের দেখা পেল নিউজিল্যান্ড।
শনিবার সিডনি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২০০ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। জবাবে ১১১ রানে সব উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া।
খেলার শুরু থেকেই ছন্দ খুঁজে পায়নি অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই তারা হারিয়ে ফেলে উদ্বোধনী ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নারকে। ৬ বলে ৫ রান করে টিম সাউদির বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার অ্যারন ফিঞ্চও ১১ বলে ১৩ রান করে আউট হন।
তাদের বিদায়ের পর আর কখনোই ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২০ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান করে ইশ সোধির বলে বোল্ড হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এছাড়া ১৮ বলে ২১ রান করেন প্যাট কামিন্স। কিউইদের পক্ষে ২ ওভার ১ বল হাত ঘুরিয়ে মাত্র ৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন টিম সাউদি, তিন উইকেট নেন মিচেল সান্টনারও।
এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কিউইদের বিধ্বসংসী শুরু এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে যখন অ্যালেন ফেরেন, তখন স্কোরকার্ডে জমা হয়েছে ৫৬ রান। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ১৬ বলের ঝড়ো ইনিংসে ৪২ রান করে হ্যাজলউডের বলে বোল্ড হন অ্যালেন। তার বিদায়ের পর উইলিয়ামসনের সঙ্গে জুটি বাধেন কনওয়ে। দুজন মিলে যোগ করেন ৬৯ রান। ২৩ বলে ২৩ রান করে অ্যাডাম জাম্পার বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি, বাঁচতে পারেননি রিভিউ নিয়েও।
উইলিয়ামসন ফিরলে আরেক প্রান্তে ফিফটি তুলে নেন কনওয়ে। ইনিংসের শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ বলে ৯২ রান করেন তিনি। শেষদিকে ১৩ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন জিমি নিশাম। অজিদের পক্ষে ৪ ওভারে ৪১ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন জশ হ্যাজলউড।