12.8 C
Sydney

টপ নিউজমিয়ানমারের সামরিক সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তি মেনে চলবে : মোমেন

মিয়ানমারের সামরিক সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তি মেনে চলবে : মোমেন

প্রকাশের তারিখঃ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক সরকার জানিয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য তারা ঢাকা ও নেপিদোর মধ্যকার স্বাক্ষরিত পূর্ববর্তী সকল চুক্তি মেনে চলবে।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের সাথে তার বৃহস্পতিবার বৈঠকের ব্যাপারে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা ভাল খবর।’

২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একটি প্রত্যাবাসন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে একজন রোহিঙ্গাও তাদের নিজ ভূমি রাখাইন রাজ্যে ফিরে যায়নি।

মোমেন বলেন, মিয়ানমার সামরিক কর্তৃপক্ষ বেইজিংকে জানিয়েছে যে সত্যতা যাচাই করার পর, তারা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। যদিও বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া এই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কবে শুরু হবে, সে ব্যাপারে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোন দিনক্ষণ জানানো হয়নি। মোমেন বলেন, চীন আশ্বস্ত করেছে যে বেইজিং রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে প্রচেষ্টা অব্যহত রাখবে।

মোমেন বলেন, ‘তারা (চীন) পরিস্থিতি সহজ করতে ভূমিকা রাখছে, কিন্তু তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নয়। আমরা এই সংকট নিরসনে তাদের বারংবার অনুরোধ করে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ঢাকা এই সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখতে চীনের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে। চীন একটি ত্রিপাক্ষিক পদ্ধতির আওতায় রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধানের উপায় বের করতে গত চার বছর ধরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।

রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে চীনা রাষ্ট্রদূতের ঘন্টাব্যাপী দীর্ঘ আলোচনা হয়। আজকের আলোচনা শুধুমাত্র রোহিঙ্গা ইস্যুতেই সীমাবদ্ধ ছিল। এর আগে, রাষ্ট্রদূত জিমিং জানিয়েছিলেন যে মিয়ানমার পক্ষের সাথে তাদের আলাপের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা রোহিঙ্গা ইস্যুর দ্রুত ও টেকসই সমাধান চায়। তিনি বলেন, ‘আমি (রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে) সব সময়ই আশাবাদী।’ মোমেন বলেন, ‘জিরো পয়েন্টে’ বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে ভূমিকা রাখার আহ্বানটি বেইজিংকে পৌঁছে দিতে তিনি চীনের রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেছেন।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় দিয়ে আসছে এবং এদের অধিকাংশই মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর দমন অভিযানের পর, প্রাণ বাঁচাতে এদেশে পালিয়ে এসেছে। জাতিসংঘ মিয়ানমারের ওই দমন অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো ‘গণহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। যদিও মিয়ানমার এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ব্যাপারে রোহিঙ্গারা আস্থা রাখতে না পারায়, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত এইসব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

সূত্র    বাসস।

সর্বশেষ

spot_img

জনপ্রিয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

ডেইলি মার্ক নিউজে জনপ্রিয়

ভারত-বাংলাদেশের যৌথ অংশগ্রহণে ব্রেমেনে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপন

মো. নাজিম উদ্দীন, ব্রেমেন প্রতিনিধি: বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিভা...

উজবেকিস্তানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক স্বার্থে উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ...

প্রধানমন্ত্রী আগামী সেপ্টেম্বরে ভারত সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে : মোমেন

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী...

অস্ট্রেলিয়ায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির কোগরার ফ্রাই রিজার্ভ ও মিন্টুতে আজকের ঈদুল ফিতরের...

ডেইলি মার্ক নিউজে সর্বশেষ
Latest

রোহিঙ্গা বিষয়ে আসিয়ানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সিঙ্গাপুরের প্রতি ঢাকার আহ্বান

পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে টেকসই...

একনেকে ১,২২২.১৪ কোটি টাকার ৪টি প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আজ মোট চারটি...

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র সমাবেশ শুরু

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আয়োজিত...

মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য দেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘ ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দলের

বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং...