অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশে এখন চরম নৈরাজ্য বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরশাসনের কারণে বাংলাদেশ আজ এক বৃহত্তর বন্দিশালায় পরিণত হয়েছে। দেশের গণতন্ত্রকামী ও স্বাধীনতাকামী জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ। জনগণ যে কোনো মুহূর্তে সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবেই।’
তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশে এখন চরম নৈরাজ্য বিরাজ করছে। দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে রাজকোষ আজ শুণ্য হয়ে পড়েছে। চারিদিকে হাহাকার উঠেছে। এমন পরিস্থিতি আড়াল করতে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী বিরোধী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে নির্বিচারে ব্যবহার করছে। সরকারের হুকুমেই আইন-আদালত-প্রশাসন উঠবস করে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গাজীপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. সোহরাব উদ্দিন সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। আজকে নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে। জনসমর্থনহীন সরকার অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে বিএনপির নেতাকর্মীদের পাইকারি হারে গ্রেপ্তার করছে। আদালতে গেলে নেতাকর্মীরা প্রতিকার পায় না। আদালতে হাজিরা দিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দিচ্ছে। জেলখানা এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের দিয়ে পূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘নির্যাতন নিপীড়নের মাধ্যমে দেশবাসীসহ বিএনপি ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের আতঙ্কিত ও ভীত-সন্ত্রস্ত করে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতায় টিকে থাকার অভিসন্ধি করছে। বিএনপিসহ বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক অসত্য মামলা দায়ের করছে। এর উদ্দেশ্যই হচ্ছে নিরুদ্দেশ গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য কেউ যেন আন্দোলন করতে সাহসী না হয়। তবে তৃণমূল থেকে মানুষ জেগে উঠতে শুরু করেছে। সরকারের অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তারা এখন রুখে দাঁড়াচ্ছে। জনগণের স্রোতে শিগগিরই এ সরকার ভেসে যাবে।’