ইউক্রেনে রাশিয়া যদি পরমাণু হামলা চালায় তাহলে তাতে ফ্রান্স জড়াবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ।
ফ্রান্সের সম্প্রচার মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে পরমাণু হামলা হলে সরাসরি ফ্রান্সের স্বার্থের কোনো ক্ষতি হবে না এবং ফ্রান্স পরমাণু হামলার কোনো জবাবও দেবে না।
রাশিয়া এবং পাশ্চাত্যের দেশগুলোর মধ্যে পরমাণু যুদ্ধের বিষয় নিয়ে যখন উত্তেজনাকর নানামুখী আলোচনা চলছে তখন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিজের অবস্থান তুলে ধরলেন। ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।
সাক্ষাৎকার ম্যাখোঁবলেন, তার দেশের পরমাণু ডকট্রিন খুবই পরিষ্কার যার মূল ভিত্তি হচ্ছে দেশের মৌলিক স্বার্থ। অর্থাৎ ফ্রান্সের স্বার্থে আঘাত না আসা পর্যন্ত দেশের পরমাণু ডকট্রিন অনুসারে ফ্রান্স পরমাণু যুদ্ধে জড়াতে পারবে না।
ম্যাখোঁ বলেন, এগুলো পরিষ্কারভাবে সংজ্ঞায়িত করা আছে এবং রাশিয়ার পরমাণু হামলায় ফ্রান্স সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। একদিন ইমানুয়েল ম্যাক্রন টুইটার বার্তায় এও বলেছেন যে, তার দেশ বিশ্বযুদ্ধ চায় না।
ম্যাখোঁর এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোঁয়া ওলাঁদ এবং কনজারভেটিভ এমপি জ্যঁ লুই থিয়েরিও।
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয় প্রধান জোসেপ বোরেল গতকাল বলেছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে পরমাণু হামলা চালায় তাহলে পাশ্চাত্যের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর জবাব পাবে যার ফলে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তবে তিনি বলেছেন, এই জবাব পরমাণু অস্ত্র দিয়ে হবে না।
গত মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যদি তার দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়ে তাহলে রাশিয়া তার ভাণ্ডারে থেকে সব উপায় উপকরণ ব্যবহার করবে। পুতিনের এই বক্তব্যকে পশ্চিমা দেশগুলো সরাসরি পরমাণু যুদ্ধের হুমকি বলে ব্যাখ্যা করেছেন।