মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, স্নায়ুযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো বিশ্ব পারমাণবিক ‘আর্মাগেডন’ এর ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে এবং তিনি ইউক্রেন সংঘাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একমুখী অবতলে ধাবিত হওয়ার ‘অফ-র্যাম্প’ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। ‘আর্মাগেডন’ হলো নিউ টেস্টামেন্টে উল্লেখিত বিচার দিবসের আগে ভালো ও মন্দের মধ্যে শেষ ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ।
নিউইয়র্কে ডেমোক্র্যেটিক পার্টির তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির বক্তব্য উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ১৯৬২ সালে ‘কেনেডি এবং কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর থেকে আমরা আর্মাগেডনের সম্ভাবনার মুখোমুখি হইনি।’
বাইডেন বলেন, পুতিন যখন ইউক্রেনে তার আগ্রাসন চালানোর জন্য পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার হুমকি দেন তখন তিনি ‘তামাশা করছেন না’।
সংবাদপত্রের মোগল নামে খ্যাত রুপার্ট মারডকের ছেলে জেমস মারডকের ম্যানহাটনের বাড়িতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দলীয় সমর্থকদের সামনে দেয়া বক্তব্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের পারমাণবিক হুমকির কারণে তৈরি ঝুঁকি সম্পর্কে বাইডেন তার অস্বাভাবিক এই কঠোর মন্তব্য করেন।
৬০ বছর আগে কিউবায় মোতায়েন সোভিয়েত ইউনিয়নের ক্ষেপণাস্ত্র থেকে সহজেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক হামলার হুমকির স্থবিরতার কথা উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতি যদি একইভাবে একই দিকে চলতে থাকে তাহলে সেটি কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর প্রথমবারের মতো আমাদের সামনে এটি হবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সরাসরি হুমকি।’
বাইডেন বলেন, ‘আমরা পুতিনের ‘অফ-র্যাম্প’ কী তা বোঝার চেষ্টা করছি।’
পশ্চিমা-সমর্থিত কিয়েভের কঠোর প্রতিরোধের মুখে ইউক্রেনীয় ভূখন্ড দখল করার জন্য তার বিকল্পগুলি শেষ হয়ে গেছে বলে মনে করলে পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার অবিবেচক গোপন হুমকি দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এগুলি সম্ভবত তুলনামূলকভাবে ছোট, কৌশলগত হামলা হবে। তবে বাইডেন সতর্ক করে দিয়েছেন যে সীমিত এলাকায় এই ধরনের হামলা এখনও একটি বিস্তৃত দাবানল সৃষ্টির ঝুঁকি তৈরি করবে।
‘আমাদের এমন একজন লোক আছেন যাকে আমি মোটামুটি ভালোভাবে চিনি’ উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ‘যখন তিনি কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র বা জীবাণু বা রাসায়নিক অস্ত্রের সম্ভাব্য ব্যবহার সম্পর্কে কথা বলেন, তখন তিনি রসিকতা করেন না, কারণ তার সামরিক বাহিনী উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল।’
সূত্র বাসস