বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আদালতের আদেশে বাতিল হয়েছে। তাই ওই দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ভিন্ন নামে আবেদন করলেও নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
সোমবার নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি কমিশনের এমন অবস্থানের কথা জানান।
জামায়াত ইসলামের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার কোনো সুযোগ আছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, এ ধরনের প্রশ্নের কোনো উত্তর হয় না। তবে যেহেতু আদালত বলেছেন, তাহলে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
যদি নতুন করে আবেদন করে একই মানুষ, কিন্তু ভিন্ন দল, তাহলে কী সুযোগ আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, একই মানুষ আসবে কিনা, তাতো আর বলতে পারবো না। যারা আবেদন করছেন, যদি দেখি যে ক্রাইটেরিয়া মেলে না, তাহলে তো দিতে পারবো না।
অন্য নামেও হলে কী নিবন্ধন পাওযার সুযোগ আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, অন্য নামে হলেও তো জিনিস তো একই। দলের গঠনতন্ত্র যদি আমাদের সংবিধানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ হয়, তাহলে তো কোনো সুযোগ নেই। আদালতের আদেশ পরিবর্তন হলে তো সেটা অন্য বিষয়।
নতুন দল সম্পর্কে তদন্ত রিপোর্ট কী গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে নেয়া হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত নয়। আইনে আছে কমিশনের কর্মকর্তারাই তদন্ত করবেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে এক রিট পিটিশন দায়ের করেন। কয়েক দফা শুনানির পর হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রায়ে জামায়াতকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন প্রদান আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও আইনগত অকার্যকর ঘোষণা করেন।