পাকিস্তানে জুন থেকে শুরু হওয়া মৌসুমি বৃষ্টিপাত ও বন্যায় এ পর্যন্ত ১,০৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ রোববার এ কথা জানায়। এতে বলা হয়, এদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় বিপন্ন এলাকায় ৩ কোটি ৩০ লাখের বেশী লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে দেশটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে। যদিও বন্যা মৌসুমে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আরব আমিরাতসহ অন্যান্য দেশ সহযোগিতা দিয়েছে। কিন্তু যেভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাতে আরও সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন, পাকিস্তান সরকার ।
আইএসপিআর জানায়, বন্যায় এ পর্যন্ত এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এবং লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
পাকিস্তান সরকার জানায়, এমন পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তান সরকার তার সর্বোচ্চ শক্তি বিনিয়োগ বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে বন্যার কারণে প্রায় হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘর বাড়ি ছেলে অন্যত্র পালিয়ে গেলেন। খাইবার পাকতুনখা নদীর পাশে বসবাসকারীদের ঘর বাড়ি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৭৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একই সময়ে ৮২ হাজারের বেশি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ৭১০টি গবাদিপশু মারা গেছে।
এনডিএমএ বলছে, ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় এ বছর দেশটিতে ৪০০ জন মারা গেছে। যাদের মধ্যে ১৯১ জন নারী। আহত হয়েছে প্রায় এক হাজার মানুষ। পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী শেরি রহমান বলেন, চলতি মাসে দেশটিতে গড়ে ১৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
শেরি রহমান বলেন, প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় বিভিন্ন প্রদেশের সেতু এবং যোগাযোগ অবকাঠামো ভেসে গেছে। তিনি বলেন, ‘সিন্ধু প্রদেশের ২৩টি জেলাকে দুর্যোগপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী এবং এনডিএমএসহ প্রাদেশিক সরকারগুলো উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত রয়েছে। দুর্যোগে প্রায় ৩ কোটি মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।
সূত্র বাসস