এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারি এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াইকে অন্তত দুই বছর পিছিয়ে দিয়েছে।
এছাড়া অন্যান্য অঞ্চলগুলোর জন্যও মহামারির এই অভিঘাত দারিদ্রতা থেকে মুক্তির প্রয়াসকে আগের চেয়ে অধিকতর কঠিন করে দিতে পারে। এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ২০২২ সালে সূচক অনুযায়ী, চলতি বছর এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অতি-দারিদ্রতাকে ২০২০ সালের সমপর্যায়ে হ্রাস করতে পেরেছে বলে আশা করা হচ্ছে- অতি দারিদ্রতা যেমনটি মহামারির আগে হ্রাস পেয়েছিল।
আজ প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, তথ্য-উপাত্তে আরো জানা গেছে যে, এ অঞ্চলে সামাজিক গতিশীলতার দিক থেকে মহামারির পূর্বে মানুষের যে উত্তরণ সক্ষমতা ছিল, মহামারির অভিঘাতে তাদের এই উত্তরণ বিলম্বিত হতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংকটটি এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে দারিদ্র বিমোচনের গতিকে বিঘিœত ও দীর্ঘায়িত করতে পারে, যদিও অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হচ্ছে। এই মহামারির কারণে খাদ্য নিরাপত্তা, অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে হতদরিদ্রদের অবস্থা আরো কঠিন হতে পারে।
এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ এলবার্ট পার্ক বলেন, ‘কোভিড-১৯ অভিঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দরিদ্র ও ঝুঁকিতে থাকা মানুষরা এবং এখন যখন আবার অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হচ্ছে, তখন অনেক মানুষের জন্য দারিদ্রতা থেকে উত্তরণ আগের চেয়েও আরো বেশি কঠিন হয়ে পড়তে পারে।’
পার্ক বলেন, ‘এই অঞ্চলের সরকারগুলোকে সকলের জন্য অধিকতর ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক সুযোগ ও সামাজিক গতিশীলতার লক্ষ্যে স্থিতিস্থাপকতা, উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তির ওপর আলোকপাত করা উচিত। ২০৩০ সাল নাগাদ এই অঞ্চলের অতি-দারিদ্রতা হ্রাস পেয়ে ১ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সময়ে, জনগোষ্ঠির প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ মধ্যবিত্ত অবস্থান অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। এদের ক্রমক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
এই নিবন্ধে অবশ্য সামাজিক গতিধারায় বৈষম্যের পাশাপাশি, অন্যান্য অনিশ্চিয়তার আশঙ্কার কথাও রয়েছে। মহামারির অভিঘাত কাটিয়ে উঠে ঘুরে দাাঁড়াতে এশিয়াকে উৎপাদন স্থবিরতা ও মূদ্রাস্ফীতি, বিশ্বের প্রধান ক্ষমতাধর দেশগুলোর মধ্যকার চলমান সংঘাত, ক্রমবর্ধমান খাদ্য অনিরাপত্তা ও জ্বালানী মূল্য বৃদ্ধির মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
সূত্র বাসস