স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পরও যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।
সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম এ বিষয়ে জানতে চাইলে রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন এই আশ্বাস দিয়েছেন।
বিজিএমইএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই অনুষ্ঠানে শহিদউল্লাহ আজিম বর্তমান বিশ্ব পেক্ষাপট তুলে ধরে এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখতে যুক্তরাজ্য সরকারকে অনুরোধ করেন। আর এ বিষয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনানের সহয়তা কামনা করেন।
সে সময় শহিদউল্লাহ আজিমকে আশ্বস্ত করে ব্রিটিশ হাইকমিশনার ডিকসন বলেন, “ব্রিটিশ সরকার বিদ্যমান জিএসপি ব্যবস্থার স্থলে ‘ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম’ নামে একটি নতুন স্কিম ঘোষণা করেছে। নতুন এই স্কিম অনুযায়ী এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ পণ্য যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।”
ফ্রেডরিখ-এবার্ট-স্টিফটাং বাংলাদেশের সহযোগিতায় সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাইকশিনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, এবং সাংবাদিকসহ অংশীজনদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, ‘যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে যুক্তরাজ্যে ৪৪৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। গত কয়েক দশক ধরেই দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু এখনকার শিল্প পরবর্তী ধাপে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাই আমরা আমাদের ব্যবসায়িক সক্ষমতা বাড়াতে শিল্পের অগ্রাধিকারগুলো নির্ধারণ করেছি। বিশেষ করে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, উদ্ভাবন, প্রযুক্তির আপগ্রেডেশন এবং হাই-অ্যান্ড টেক্সটাইল খাতে বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিয়েছি।’
শহিদউল্লাহ আজিম নতুন স্কিমের জন্য ব্রিটিশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এটি বাংলাদেশকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাণিজ্য বাড়াতে সহায়তা করবে।’
বাংলাদেশের উন্নয়নে ব্রিটিশ সরকারের বন্ধুত্বপূর্ন সহযোগিতা আগামি বছরগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ-এর চেয়ারম্যান মঞ্জুর এ চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান এবং ফ্রেডরিখ-এবার্ট-স্টিফটাং বাংলাদেশের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সাধন কুমার দাস বক্তব্য রাখেন।