রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনের সম্মতি জানিয়ে বলেছেন, নিরপেক্ষ পরিদর্শকরা মস্কো অধিকৃত জাপোরিজঝিয়া পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্র পরিদর্শন করতে পারেন।
এ কেন্দ্রের কাছে যুদ্ধের আশংকা বেড়ে যাওয়ার পর তিনি তা পরিদর্শনের অনুমতি দিলেন। শুক্রবার ফরাসি প্রেসিডেন্টের দপ্তর একথা জানিয়েছে।
এক্ষেত্রে রাশিয়ার অগ্রগামী হওয়া ঠেকাতে ইউক্রেনের বাহিনীর এগিয়ে আসার কথা মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানানোর পর পরিদর্শকরা ইউক্রেন বা রাশিয়া হয়ে কেন্দ্রটি সফর করবে কিনা তা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের সমাধানের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার বাহিনীর অগ্রগতির ঘাটতি আপনারা লক্ষ্য করছেন।’
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর দপ্তর জানায়, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার পরিদর্শকরা রাশিয়া হয়ে জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন তার এমন দাবি পুতিন পুনর্বিবেচনা করেন।
জাতিসংঘ পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি ইউক্রেন ও রাশিয়ার সম্প্রতি দেওয়া বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছে। বিবৃতিতে উভয় দেশ ওই পরমাণু কেন্দ্র পরিদর্শনে একটি মিশন পাঠানোর ক্ষেত্রে আইএইএর পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানায়।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস জোরপূর্বক দখল করে নেওয়া জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন না করতে মস্কোর বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে এমনটা ঘটলে ইউক্রেনের লাখো মানুষ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবেন।
রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারদিকে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ায় সেখানে চেরনোবিলের চেয়েও বড় বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে। ওই অঞ্চলে বিভিন্ন হামলার জন্য উভয় পক্ষ পরস্পরকে দায়ী করছে।
ক্রেমলিন জানায়, পুতিন ও মাখোঁ সম্মত হয়েছেন যে, ওই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৃত পরিস্থিতি মূল্যায়নে আইএইএ যতদ্রুত সম্ভব সেখানে পরিদর্শক দল পাঠাবে।
সূত্র এএফপি