অন্য দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের চেয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা ঝুঁকি অনেক বেশি বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে রোববার রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন দাবি করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ কেন, আমার মনে হয় পৃথিবীর যত দেশ আছে, সেসব দেশের প্রধানমন্ত্রীদের তুলনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তার ঝুঁকি অনেক বেশি। কারণ তাকে একাধিকবার হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। হত্যার পরিকল্পনাকারীরা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার জন্য সব ধরনের চেষ্টাই করেছে।
‘আমার বিশ্বাস, শুধু মহান আল্লাহতায়ালা উনার হায়াত রেখেছেন, সে জন্য উনি আমাদের মাঝে আছেন। তা না হলে এতগুলো অ্যাটেম্পট (হত্যাচেষ্টা) হয়েছে যে, উনার বেঁচে থাকার কথা না।’
জাতীয় শোক দিবসকেন্দ্রিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রধান বলেন, ‘১৫ আগস্টের এটি এমন একটি সেট প্রোগ্রাম, আওয়ামী লীগ যতদিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে থাকবেন, যতদিন বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে, তিনি এখানে আসবেন। এ কারণে যেকোনো পরিকল্পনার সুযোগ থেকে যায়। এসব বিষয় মাথায় রেখেই আমরা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি।
‘আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাব। আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সবকিছু মিলিয়ে আমরা মনে করি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ঝুঁকিটি খুবই প্রকট। আমরা সেদিকে দৃষ্টি রেখেই নিরাপত্তা ছক সাজিয়েছি।’
১৫ আগস্টের আয়োজনে কোনো ধরনের হুমকি রয়েছে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে শফিকুল বলেন, ‘জঙ্গি নিয়ে যারা কাজ করে, স্পেসিফিক তাদের কাছে কোনো হুমকির তথ্য নেই। দৃশ্যমান কোনো হুমকি নেই।
‘আগস্ট মাস আসলেই আমরা সতর্ক হয়ে যাই। বোমা হামলার মাধ্যমে পুরো আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার একটি অপপ্রয়াস চালিয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার প্লটিং (পরিকল্পনা) ছিল এই আগস্ট মাসে।’
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের নিরাপত্তা নিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পুরো এলাকায় সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটসহ বিভিন্ন বাহিনী এই এলাকায় নজরদারিতে থাকবে।
‘মোবাইল পেট্রল থাকবে। ৩২ নম্বর ঢোকার আগে যথাযথ নিরাপত্তার জন্য আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবস্থা থাকবে।’
জাতীয় শোক দিবসের আয়োজনে ব্যাগ বা ব্যাকপ্যাক কিংবা টিফিন ক্যারিয়ার জাতীয় কোনো কিছু না আনার আহ্বান জানিয়েছেন কমিশনার।