যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি বেড়েছে ১৮৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮ হাজার ডলারের, যা শতাংশের হিসাবে ৬০ দশমিক ৩০ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) এর ডেটা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পরিচালক ও মুখপাত্র মহিউদ্দিন রুবেল।
তিনি বলেন, ‘এই রফতানি আদেশগুলো এসেছিল চলতি বছরের মে মাসে, যখন বৈশ্বিক পরিস্থিতি এখনকার মতো অস্থির ছিল না।’ তবে বর্তমান পরিস্থিতি অতোটা ভালো নয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘করোনা পরবর্তী সময়ে এবং ভূ-রাজনৈতিক সংকটের কারণে বিশ্ব বাণিজ্য ও অর্থনীতি এই মুহূর্তে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জ্বালানির উচ্চমূল্য এবং সরবরাহের ঘাটতি বিশ্ব পরিস্থিতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যেহেতু আমরা বিশ্ববাজারে কাজ করি, আমাদের শিল্পও এর মাধ্যমে প্রভাবিত হয়েছে।’
তিনি জানান, এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে উদ্যোক্তারা নিজ নিজ সরকারের কাছ থেকে সমর্থন পাচ্ছেন, যা তাদের এগোতে সাহায্য করছে। আমরাও সরকারের কাছ থেকে কিছু নীতিগত সহায়তা চাই।
মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘পণ্য তৈরি এবং বাজারের অতিরিক্ত ঘনত্ব, বিশেষ বাজারে অনুপস্থিতি, ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্পের উন্নতি ইত্যাদির মতো দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।’ খরচ কমিয়ে আমাদের দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে প্রতিযোগিতামূলক থাকার চেষ্টা করছি বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, গত দেড় বছরে সুতার দাম বেড়েছে ৬২ শতাংশ, মালবাহী পরিবহন খরচ বেড়েছে ৫০ শতাংশ, রং-রাসায়নিক খরচ বেড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ, ন্যূনতম মজুরি গত বছরের শুরুতে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে গড় উৎপাদনে গত ৫ বছরে খরচ বেড়েছে ৪০-৪৫ শতাংশ।
এদিকে অটেক্সার তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে ৫০১ কোটি ৯০ লাখ ৭ হাজার ডলারের। ২০২১ সালের একই সময়ে পোশাক পণ্য রফতানি হয়েছিল ৩১৩ কোটি ১০ লাখ ৯ হাজার ডলারের। সে হিসাবে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালের একই সময়ে পোশাক পণ্য রফতানি বেড়েছে ১৮৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮ হাজার ডলারের।