তাইওয়ানে মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরের প্রতিক্রিয়ায় সিনিয়র-স্তরের সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে সংলাপ এবং জলবায়ু আলোচনাসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা কার্যক্রম বন্ধ করছে চীন। শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে তথ্যটি জানিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, তারা আটটি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত অপরাধ ও মাদক পাচার প্রতিরোধ এবং অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তন, আন্ত সীমান্ত অপরাধ ও মাদক চোরাচালান রোধ, বন্দি বিনিময়সহ মোট আটটি ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছিল চীনের। এসবের বাইরে দক্ষিণ চীন সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে সামরিক নিরাপত্তা নিয়েও দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ে সংলাপ চলছিল।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, চীন বার বার আপত্তি জানানো সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে ন্যান্সি পেলোসির গত ২ আগস্ট তাইওয়ান সফরের প্রতিক্রিয়াস্বরুপ এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা আরও বাড়িয়েছে চীন। ফলে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে দ্বীপটিতে। এতে করে বেশ কয়েকটি সংস্থা তাইপেগামী ফ্লাইট বাতিল করেছে।
এছাড়াও তাইওয়ান রুট ব্যবহার করে অন্যান্য যে দেশগুলো ফ্লাইট পরিচালনা করতো তারাও রুটটি পরিবর্তন করেছে।
মাত্র গত বছর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনে দুই দেশ বিশ্বের তাপমাত্রা কমাতে একটি চুক্তি করেছিল। জলবায়ু পরিবর্তন সামলানোর আন্তর্জাতিক চেষ্টায় সাফল্যের জন্য চীন-মার্কিন সহযোগিতাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
এদিকে পেলোসি তার এশিয়া সফরের সর্বশেষ গন্তব্য জাপান ত্যাগ করার পরপরই একটি বিবৃতি প্রকাশ করে চীন। সেখানে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সামুদ্রিক সামরিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যে বৈঠক পরিকল্পিত ছিল তাও বাতিল করা হয়েছে।
সূত্র রয়টার্স