দেশ বড় ধরনের সামরিক হুমকির মুখে রয়েছে। তবে চীনের হুমকি সত্ত্বেও পিছু হটবে না তাইওয়ান বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন।
মঙ্গলবার নিজ কার্যালয় থেকে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাই ইং ওয়েন বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ তাইওয়ান প্রণালির নিরাপত্তাকে বিশ্বব্যাপী মনোযোগের আরেকটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। এই দ্বীপের ওপর যে কোনো আগ্রাসন সমগ্র ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখব। একই সঙ্গে যৌথভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য আমরা বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, তাইওয়ান তার আত্মরক্ষার সক্ষমতা জোরদার করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তাই করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা হবে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সাপ্লাই চেইনের মতো বিষয়গুলোতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আরও জোরালো করা হবে।
তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বিবেচনা করা বেইজিং এই সফরের ‘মারাত্মক পরিণতির’ ব্যাপারে হুশিয়ারি দিয়েছেন। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র উসকানিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। এটি তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়ে পারে। তাদের অবশ্যই এর সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে। চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করার দায় যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই বহন করতে হবে। এর জন্য তাদের মূল্য দিতে হবে।’
সূত্র আলজাজিরা