চীনের হুমকি উপেক্ষা করেই তাইওয়ান সফরে আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। আর তার নিরপত্তার অজুহাতে দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপরাষ্ট্রে ঢুকে পড়ল আমেরিকার যুদ্ধবিমানের বহর!
মঙ্গলবার রাতে মালয়েশিয়া থেকে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন পেলোসি-সহ আমেরিকার কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের সদস্যেরা। তাদের নিরাপত্তা দিতে জাপানের বিমানঘাঁটি থেকে ওড়ে আমেরিকার বিমানবাহিনীর ১৩টি ফাইটার জেটের একটি স্কোয়াড্রন।
পেন্টাগন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্ভাব্য চীনা হামলা থেকে হাউস স্পিকারকে রক্ষা করার জন্যই এই পদক্ষেপ।
চীনা পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হুয়া চুনইয়ং মঙ্গলবারও পেলোসির সফর নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এর বড় মূল্য দিতে হবে।’ ১৯৯৭ সালের পরে এই প্রথম আমেরিকার কোনও শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিক তাইওয়ান সফরে আসেন। আর তা নিয়েই আপত্তি তুলেছে শি জিনপিং সরকার।
চীনা পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ন গত সপ্তাহে বলেছিলেন, ‘সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য সমস্ত রকম পদক্ষেপ করব আমরা।’ এর পর এক ধাপ এগিয়ে চীনা প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র ট্যান কেফেই তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন।
পেলোসির তাইওয়ান সফর সম্পর্কে কার্যত হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সেনা কিন্তু চুপ করে বসে থাকবে না।’ এই পরিস্থিতিতে চীন হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে পেলোসির তাইওয়ান সফর কূটনৈতিক এবং সামরিক দিক থেকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।
শুধু আকাশপথ নয়, পেলোসির সফরের আগেই তাইওয়ানের জলসীমার কাছে পৌঁছে আমেরিকার চারটি যুদ্ধজাহাজও। এই তালিকায় রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রেগন। সেই সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিয়েটাম, ডেস্ট্রয়ার গোত্রের রণতরী ইউএসএস হিগিন্স এবং দ্রুত সেনা অবতরণের উপযোগী রণতরী ইউএসএস ত্রিপোলিও দক্ষিণ চীন সাগরের রয়েছে।
সূত্র রয়টার্স