পায়ের তলায় মাটি সরে গেছে বলে সরকার এখন হিতাহিত জ্ঞানশুন্য হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘আওয়ামী লীগ সরকার এখন নিজেদের পতন আঁচ করতে পেরেই মরণকামড় দিতে শুরু করেছে’ বলেন তিনি ।
রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ভোলায় দলীয় কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার নিহতের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি দেয়া হয়।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার এখন নিজেদের পতন আঁচ করতে পেরেই মরণকামড় দিতে শুরু করেছে। সরকার জনগণের সঙ্গে ভাঁওতাবাজি, অসত্য বক্তব্য এবং বিরোধীদলের জীবন হরণের কর্মসূচিতে লিপ্ত রয়েছে।’
‘একদিকে সরকার সভা-সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের লেলিয়ে দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে হত্যা ও আহত করছে আবার অন্যদিকে নিজেদেরকে গণতন্ত্রী বলে দাবি করছে।’
সরকারের এই দ্বিচারিতা জনগণের কাছে এখন সুস্পষ্ট দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মূলত এই সরকার মানবাধিকার, বাক-স্বাধীনতা তথা জনগণের দুশমন। আজ ভোলা ও ঝালকাঠিসহ দেশের কয়েকটি স্থানে পুলিশের হামলা এবং ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যাসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করার ঘটনা সরকারের অমানবিক দুঃশাসনেরই বহিঃপ্রকাশ।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার কতটা হিংস্র হবে তার মহড়া এখন থেকে শুরু করেছে। আওয়ামী স্বৈরাচারীর কবল থেকে দেশকে এখনই মুক্ত করতে না পারলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের জানমাল চরম হুমকির মুখে পড়বে।’
সরকারের পতন ঘটাতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তা না হলে রাষ্ট্র ও জনসমাজ থেকে ভয়-শঙ্কা তথা নৈরাজ্য অপসারিত হবে না।’
বিএনপি মহাসচিব ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।