বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়ার পরও দেশের খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি কম বলে মন্তব্য করেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক বন্ড ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি মুডি’স ইনভেস্টর সার্ভিস।
এ ব্যাপারে মুডি’স ইনভেস্টর সার্ভিসের বিশ্লেষক ক্যামিল চোটার্ড বলেন, মূল বার্তাটি হল যে, যদিও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ইদানিং কমেছে উচ্চ স্তর থেকে এবং বাহ্যিক ভঙ্গুরতার সূচকও কম।
আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বৈদেশিক রিজার্ভ কমে যাওয়ায় সামষ্টিক অর্থনৈতিক ঝুঁকি কমাতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ চাইছে।
এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ লোডশেডিং দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ডলার মজুতকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
২০ জুলাই পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক বছর আগের ৪৫.৫১ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ৩৯.৬৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে নিত্যপণ্য সরবরাহে বিঘ্নসহ দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার আগ পর্যন্ত ৪১৬ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত-গতিশীল অর্থনীতির দেশ ছিল।
ভবিষ্যতের প্রয়োজন মেটাতেই বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে ঋণ চাইছে; কিন্তু দেশ অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন নয় বলেই অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বুধবার জানিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে ক্যামিল চোটার্ড বলেন, কম প্রবাসী আয়, রপ্তানির কম চাহিদা এবং জ্বালানি ও খাদ্যের উচ্চ মূল্যের কারণে আমরা এই ঘাটতির আরও অবনতির আশঙ্কা করছি।
সম্প্রতি দেশের ভয়াবহ বন্যার কারণে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।