ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে পবিত্র হজের খুতবা সম্পন্ন হয়েছে। খুতবায় মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়েছে। এছাড়া মুসলিম বিশ্বের ঐক্য কামনার পাশাপাশি মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে মুক্তির দোয়াও করেছেন হজের খতিব।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায়) মসজিদে নামিরায় সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশে খুতবা শুরু করেন সৌদির সাবেক বিচারমন্ত্রী ও মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগের বর্তমান মহাসচিব শায়খ ড. মুহাম্মদ বিন আবদুল করিম আল ইসা।
হজের খুতবা বাংলাসহ ১৪ ভাষায় সম্প্রচার করা হয়। বাংলায় অনুবাদ করেন উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মাওলানা শোয়াইব রশিদ। তার সহকারী হিসেবে ছিলেন খলিলুর রহমান।
অনুবাদের তালিকায় থাকা ভাষাগুলো হলো— ইংরেজি, বাংলা, ফরাসি, মালয়, উর্দু, ফার্সি, রুশ, চীনা, তুর্কি, হাউসা, স্প্যানিশ, ভারতীয়, সোয়াহিলি এবং তামিল।
হজের খুতবা শেষে মসজিদে নামিরায় এক আজান ও দুই ইকামতে জোহর ও আসরের নামাজ সম্পন্ন করেন হাজিরা। সূর্যাস্ত পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করে ইবাদত-বন্দেগি করবেন। সূর্য ডোবার পরপর মাগরিবের নামাজ না পড়ে রওয়ানা দেবেন মুজদালিফার উদ্দেশে। মুজদালিফায় গিয়ে একত্রে মাগরিব ও ইশার নামাজ আদায় করবেন হাজিরা।
সেখানে রাত কাটিয়ে আগামীকাল ভোরে রওয়ানা দেবেন মিনার উদ্দেশে। সেখানে পশু কোরবানির পর মাথা মুণ্ডানো ও তওয়াফ সম্পন্ন করবেন। এছাড়া পরপর তিন দিন জামারাতে পাথর নিক্ষেপ করবেন। এর মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হবে এবারের মতো হজের আনুষ্ঠানিকতা।