অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহর সিডনিতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। পশ্চিম উপকূলে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় শহরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও হাজার হাজার মানুষের জীবন ঝুকির মুখে রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনির কয়েক হাজার অধিবাসীকে তাদের বাড়িঘর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, নিউক্যাসল রাজ্যের নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের নিউক্যাসল থেকে বেটম্যান বে পর্যন্ত পুরো পূর্ব উপকূলজুড়ে অধিকাংশ জায়গায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। কিছু জায়গায় যা ৩৫০ মিলিমিটার ছাড়িয়েছে। ফলে বাধ ও নদীগুলো উপচিয়ে পড়ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি গত বছরের এই সময়ের চেয়ে এবারও আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টিপাত বন্যার পানিতে সড়ক ডুবে যাওয়ায় কয়েকটি অঞ্চলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু সিডনির পশ্চিমাঞ্চলেই অন্তত ১৮টি এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
সামনে আরও বেশ কয়েকটি অঞ্চলে একই নির্দেশ জারি হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের জরুরি সেবা বিষয়ক মন্ত্রী স্টেফানি কুক বলেন, ২০২১ সালে নিরাপদ থাকলেও মনে করবেন না, এবারও নিরাপদ থাকবেন। এটি জীবনের জন্য হুমকিপূর্ণ জরুরি পরিস্থিতি। তিনি বলেন, পরিস্থিতি দ্রুতই পাল্টাচ্ছে। সংক্ষিপ্ত নোটিশে সরে যাওয়ার জন্যে লোকজনকে প্রস্তুত থাকতে হবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।
স্টেফানি কুক আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূল, উত্তর ও দক্ষিণ সিডনির ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে যারা বাস করে, তাদের আবহাওয়ার কারণে স্কুল ছুটির ভ্রমণ পরিকল্পনা বাতিলের বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জরুরি সেবার লোকজন বন্যাকবলিতদের উদ্ধারে ২৯টি অভিযান চালিয়েছে এবং এক হাজার ৪০০’র বেশি বার কল তাদের করা হয়েছে।
গত মার্চে প্রবল ঝড় বৃষ্টিতে পূর্ব উপকূলে বন্যা দেখা দেয়। এ সময়ে ২০ জনের প্রাণহানি হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্র শিকার অস্ট্রেলিয়ায় বন্যা, খরা, দাবানলসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।