দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের ইস্ট লন্ডনের ইনিওবেনি নামের একটি নাইটক্লাবে ২০ তরুণের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। যদের বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। ঘটনাস্থল থেকে ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয় এবং অনেককে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আরও তিনজন হাসপাতালে মারা যায়। আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রাদেশিক সরকারের নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে বলেন, এ পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ জনের মরদেহ ক্লাব থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনজন হাসপাতালে মারা গেছেন। আরও দুইজনের অবস্থা গুরুতর।
প্রাদেশিক পুলিশের মুখপাত্র থেমবিনকোসি কিনানা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা ইস্ট লন্ডনের একটি নাইটক্লাবে ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছিলাম। বিষয়টির তদন্ত চলছে। মৃতদের বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।
ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক জরুরি সেবাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, নিহতদের মরদেহ তাদের স্বজনদের দেখতে দেওয়া হয়নি। সেখানে ঠিক কী ঘটেছিল তাও খোলাসা করে বলা হচ্ছে না।
ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের পুলিশ কমিশনার উমথেথেলি লিলিয়ান মেমে এসএবিসি নিউজকে বলেছেন, ‘পানশালার ভেতরে হুড়োহুড়িতে একটি পদদলনের ঘটনার কথা শুনতে পেয়েছি’।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লাশগুলো এমনভাবে পড়ে ছিল যেন তারা মেঝেতে নেতিয়ে পড়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ মন্ত্রী ভেকি সেলে বলেন, ‘আমরা এটা বিশ্বাস করতে পারছি না… অল্পবয়সী যারা অসুস্থ ছিল না, তরুণ যারা তাদের পরিবারের সঙ্গে শীতের ছুটি উপভোগ করার কথা ছিল- তারা এভাবে জীবন হারাবে’!
কী ভাবে তাদের মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষক্রিয়া না পদপিষ্ট হওয়ায় তারা মারা গিয়েছেন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
নাইট ক্লাবে পড়ে থাকা দেহগুলোতে কোনও আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়নি। ফলে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা কম বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। বিষাক্ত কিছু সেবনের ফলেই এই ঘটনা হতে পারে বলেও জল্পনা শুরু হয়েছে।
রবিবার সকাল হতে না হতেই একসঙ্গে এত জনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই নাইট ক্লাবের বাইরে ভিড় করতে থাকেন স্থানীয়েরা। কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবার-আত্মীয়স্বজনেরা। তবে তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলে তাদের ঢোকার অনুমতি দেয়নি পুলিশ।