পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব রাখবে বলে স্বীকার করেছে বিশ্বব্যাংক।
বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন এ কথা বলেছেন।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এ বিষয়ে মার্সি টেম্বনের কাছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে
তিনি বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য হ্রাসের মাধ্যমে পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে, বিশ্বব্যাংক তা স্বীকার করছে।’
মার্সি মিয়াং টেম্বন বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে ২০১৯ সালের ১ জুলাই দায়িত্বগ্রহণ করেন।
পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার ২০১১ সালের শুরুতে ৪টি উন্নয়ন অংশীদারের সঙ্গে ঋণ চুক্তি করে। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই হয়েছিল।
পরে একই বছরের সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে প্রতিশ্রুত ঋণ দেবে না বলে জানালে, বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
২০১২ সালের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের নিজস্ব তহবিল দিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এগিয়ে যাওয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত নেন।
পরে ২০১৫ সালে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং আজ শনিবার সেতুটি চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।