‘র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) যখন কোনো মামলার তদন্ত করে তখন তা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে করে থাকে। সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই করছে র্যাব। এখন পর্যন্ত ১৬০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে র্যাব। সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে যেসব তথ্য উপাত্ত ও আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার তা করেছে র্যাব। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে পারবো। র্যাব সবসময় চেষ্টা করে তদন্তে যেন নিরীহ নিরপরাধ মানুষ দোষী সাব্যস্ত না হয়।’
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের একটাই উদ্দেশ্য সেটা হচ্ছে তদন্তে নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যেন দোষী সাব্যস্ত না হয়। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ হত্যা মামলার তদন্ত করছে র্যাব। আপনারা জানেন, আমরা সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তভার নিয়েছি দুই মাস পর। আমরা রিমান্ডে এনে অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সরকার এতটাই গুরুত্ব দিয়েছে এ মামলার তথ্য-উপাত্ত প্রমাণের জন্য আলামত পরীক্ষা করতে দেশের বাইরে পাঠানো হয়েছে। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদন পেতে সময় লেগেছে। আমরা মাত্র কিছুদিন আগে পেয়েছি। তদন্ত চলমান।
সাগর-রুনি হত্যার ১০ বছর হয়েছে— আর কত দেরি হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব জানতে চাইলে তিনি বলেন, র্যাব এ মামলা তদন্ত করছে আদালতের নির্দেশে। আমরা সবদিক বিবেচনায় তদন্ত করছি।
এমন চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত করার মতো সক্ষমতা কী তবে র্যাবের নেই? এ প্রশ্নে কমান্ডার মঈন বলেন, র্যাব অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত করেছে। র্যাব কখনো নিজ থেকে মামলার তদন্ত করে না। আদালত দিলেই কেবল তদন্ত করে। আমরা যে আজ একটি অভিযান পরিচালনা করেছি এটারও আলামত ও আসামি থানায় সোপর্দ করা হবে। নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত করছে র্যাব। তদন্তের ক্ষেত্রে র্যাব সবসময় খেলায় রাখে যাতে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত না হয়।
বাদীপক্ষ মামলার তদন্তে র্যাবের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছেন এমন বক্তব্যও আসছে— এ প্রসঙ্গে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, আমরা এ মামলার তদন্তের অগ্রগতি প্রসঙ্গে সবসময় আদালতকে অবহিত করছি। এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো অভিযোগ বা বক্তব্য পাইনি। আদালতও আমাদের বলেননি। এখানে তদন্ত নিয়ে খারাপ লাগার কিছু নেই। বাংলাদেশের কয়টি মামলায় আলামত পরীক্ষা করে আসামিকে শনাক্তের চেষ্টা করা হয়। আমরা কিন্তু সেটিই করছি। আমরা চাই এটি দ্রুত শেষ হোক এবং নিরপরাধ কেউ সাজা না পান।