তুমুল উত্তেজনা আর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। বেসরকারি ফলাফলে বলা হয়, নৌকা মার্কার প্রার্থী পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। তবে ফল কারচুপির অভিযোগ এনেছেন পরাজিত প্রার্থী সাক্কু। বুধবার রাতে ফল ঘোষণার পর সাংবাদিকদের বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। আমাকে হারানো হয়েছে।
১০১টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণার পরও সাক্কু তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রিফাতের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। এর মধ্যে রিফাতের সমর্থকরা সেখানে তুমুল হট্টগোল শুরু করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে বের করে দেয়। এই উত্তেজনার মধ্যে বেশ কিছু সময় ফল ঘোষণা বন্ধ থাকে। সে সময় সাক্কু বলেন, আমি রেজাল্ট না নিয়ে এখান থেকে যাব না। প্রয়োজনে লাশ যাবে।
ফল ঘোষণায় ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, আর চারটা কেন্দ্র বাকি আছে, দেন না কেন?
এর পরপরই রাত সাড়ে ৯টার দিকে ১০৫টি কেন্দ্রের মধ্যে সবকটির ফলাফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী।
ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্রে থাকা সাক্কু তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফল পেয়ে যোগ করে দেখেছি, আমি ৯৮০ ভোটের ব্যবধানে পাস করেছি।
এজন্যই আমি শিল্পকলা একাডেমিতে এসেছি।
যে পরিস্থিতির মধ্যে যেভাবে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাক্কু বলেন, রাতে ধারাবাহিকভাবে ফলাফল ঘোষণা হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই রিটার্নিং কর্মকর্তা কিছুক্ষণের জন্য ফলাফল ঘোষণা বন্ধ করে দেন। তিনি ফোনে কথা বলেছেন।
সব কেন্দ্রের ফলাফল হাতে আছে দাবি করে সিটি করপোরেশনের দুইবারের এই মেয়র সাক্কু বলেন, আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেব।
এরপর সাক্কু ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র থেকে গাড়িতে করে চলে যান। মেয়র পদে বিজয়ী ঘোষিত মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিফাত সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের এই নির্বাচনে মোট ১০৫টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ হয়। মোট ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন ভোটারের ৫৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।