অস্ট্রেলিয়া টানা দুই ম্যাচ জিতে আগেই স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছিল। শনিবার তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি স্বাগতিকরা দাসুন শানাকার অতিমানবীয় ইনিংসের সুবাদে ১ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয়ের দেখা পায় ।
পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। দলীয় পারফরম্যান্সে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ পায় অজিরা। তাতে ১৭৭ রানের লক্ষ্য পায় লঙ্কানরা। আগের দুই ম্যাচ হারা লঙ্কানদের জন্য এই লক্ষ্য মোটেও সহজ ছিলো না।
শুরুর ধাক্কাতেই ম্যাচটি হেরেই যাচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। শেষ ৩ ওভারে লঙ্কানদের জিততে প্রয়োজন ৫৯ রান। ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে জশ হ্যাজলউড, প্রথম ৩ ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে ২ উইকেট পাওয়া অস্ট্রেলিয়ান এই পেসার শেষ ওভারে দিলেন ২২ রান! আগের ১২ বলে ৬ রান নেওয়া শানাকা এই ওভারে দুই বাউন্ডারি ও দুই ওভার বাউন্ডারিতে নিলেন ২২ রান। আর তাতেই ম্যাচটি জমে ক্ষীর!
পরের দুই ওভারেও অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আপকে গুড়িয়ে দেয় লঙ্কান দুই ব্যাটার শানাকা ও করুণারত্নে। ১৮তম ওভারে ২২ রান নেওয়ার পর ১৯তম ওভারে আসে ১৮ রান এবং শেষ ওভারের ৫ বলে ১৯ রান নিয়ে লঙ্কানদের জয় এনে দেন এই দুই ব্যাটার। অথচ অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ১৭৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১০৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল স্বাগতিকরা। কঠিন সেই পরিস্থিতি থেকেই স্বাগতিকদের জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অধিনায়ক শানাকা ও করুণারত্নে।
২৫ বলে ৪ ছক্কা ও ৫ চারে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন শানাকা। এছাড়া করুণারত্নে অপরাজি থাকেন ১০ বলে ১৪ রানে। এর বাইরে পাথুম নিশঙ্কা ২৭ ও চারিথ আসালাঙ্কা ২৬ রানের ইনিংস খেলেন। ২৫ বলে ঝড়ো ইনিংস খেলা শানাকা ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মার্কাস স্টয়নিস ও জশ হ্যাজলউড দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ-ডেভিড ওয়ার্নার মিলে ওপেনিং জুটিতে ৪৩ রান তোলে। এরপর ২০ বলে ২৯ রান করে বিদায় নেন ফিঞ্চ। দ্বিতীয় উইকেটে ডেভিড ওয়ার্নার ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল যোগ করেন আরও ৪২ রান। এরপর টানা দুই বলে বিদায় নেন ম্যাক্সওয়েল (১৬) এবং ওয়ার্নার (৩৮)। ওয়ার্নার ৩৩ বলে ৬ চারে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন। দ্রুত দুই জনের বিদায়ে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। মার্কাস স্টয়নিস ও স্টিভেন স্মিথের দৃঢ়তায় অজিদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৭৬। স্টয়নিস ২৩ বলে ৩৮ এবং স্মিথ ২৭ বলে ৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।
লঙ্কানদের বোলারদের মধ্যে মহীশ তিকশানা সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন হাসারাঙা ও প্রবীণ জয়াবিক্রমা।