রাজধানীতে আনন্দ সমাবেশ করবে ১৪ দল। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে ১৪ দল এ সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেইসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটটি গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাকে চলমান রাখতে প্রধানমন্ত্রীকে একনিষ্ঠভাবে সমর্থন অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।
শুক্রবার বিকালে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে তার ইস্কাটনস্থ বাসভবনে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত নেতারা জানান, ঢাকায় সমাবেশের সময় নির্ধারণ ও সমন্বয় করার জন্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগেই সমাবেশটি করার কথা ভাবছে তারা।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দেশে সম্প্রতি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি নিয়েও জোটের নেতারা কথা বলেন। মানুষের কষ্ট কমাতে দেশে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর কথা বলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জেপির মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম। তারা বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। এই জন্য নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের জন্য রেশনিং প্রথা পুনঃপ্রবর্তনের কথা বলেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, গণ-আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাড. এস. কে শিকদার, তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব মোঃ আল ফারুকী, বাসদ সদস্য হামিদুল কিবরিয়া চৌধুরী আজাহার ও গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সহ-সভাপতি মো: জহির হাসান প্রমুখ।