ফিরে এলো ৩৭ বছর আগের স্মৃতি। ১৯৮৫ সালে সবশেষ ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। তিন যুগের বেশি সময় পর ফের তাদের রুখে দিয়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা।
বুধবার বান্দুং সি জালাক হারুপাত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফিফা প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ। এই ড্রয়ে র্যাংকিংয়ে কিছুটা উন্নতি হতে পারে বাংলাদেশের। ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের (১৮৮) চেয়ে ২৯ ধাপ এগিয়ে ইন্দোনেশিয়া (১৫৯)। জয়সম ড্রয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে আজ এশিয়া কাপ বাছাইয়ে খেলতে মালয়েশিয়ায় উড়ে যাবেন জামালরা।
বৃষ্টির কারণে ভারী হয়ে যায় বান্দুং স্টেডিয়ামের মাঠ। যে কারণে স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে দুদলের খেলোয়াড়দের। ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধে বাংলাদেশের ফুটবলাররা ছিলেন দুর্দান্ত। চোটের কারণে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় না থাকার অভাবটা বুধবার বুঝতে দেয়নি জামাল ভূঁইয়ার দল। চমক হিসাবে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া সাজ্জাদ হোসেন লাল-সবুজের জার্সিতে নিজের প্রথম ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন।
দেরিতে আসায় ক্যাম্প থেকে নাবিব নেওয়াজ জীবনকে বাদ দেন কাবরেরা। তার জায়গায় দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়া সাজ্জাদ সুযোগ পেলেন প্রথম ম্যাচেই। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের এ ফরোয়ার্ড নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছেন। তবে প্রথমার্ধ্বে বাংলাদেশের ত্রাতা ছিলেন গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো।
গোলপোস্টের নিচে চীনের প্রাচীর হয়ে ছিলেন। স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়ার সব আক্রমণ একাই প্রতিহত করেন। তার বীরত্বে প্রথমার্ধে জাল অক্ষত রাখে হাভিয়ের কাবরেরার দল। ম্যাচের দুই মিনিটে ইন্দোনেশিয়ার রক্ষণে কাঁপন ধরান রাকিব হোসেন। তবে তার বাঁ পায়ের শট চলে যায় পোস্টের অনেক ওপর দিয়ে।
সেই আক্রমণের জবাব দিতে থাকে ইন্দোনেশিয়া। বারবার বল নিয়ে বাংলাদেশের বক্সে প্রবেশ করার চেষ্টা করে তারা। বাংলাদেশের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের বোকা বানিয়েছেন বেশ কয়েকবার। তবে প্রতিবারই ত্রাতা ছিলেন জিকো। ৬৬ মিনিটে স্টেফানো লিলিপালির হেড দক্ষতার সঙ্গে রুখে দেন জিকো। নিশ্চিত গোল হজমের হাত থেকে রক্ষা করেন বাংলাদেশকে। ৮৪ মিনিটে সোহেল রানার দ্রুতগতির শট গ্রিপে নিয়ে নেন ইন্দোনেশিয়ান গোলকিপার নাদেও আরগা। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্রয়েই শেষ হয় প্রীতি ম্যাচটি।