রাশিয়ার সীমান্ত পার হতে পারে এমন রকেট ব্যবস্থা ইউক্রেনকে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র, জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল কিয়েভকে দূরপাল্লার উন্নত রকেট ব্যবস্থা দিতে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। সেসব প্রতিবেদনের প্রতি ইঙ্গিত করে রাশিয়ান ভূমিতে আঘাত হানতে সক্ষম এমন কোনো অস্ত্র ইউক্রেনে পাঠানোর ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোকে হুঁশিয়ারি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
ল্যাভরভ বলেন, ইউক্রেনকে এমন কোনো ধরনের অস্ত্র সরবরাহ হবে পরিস্থিতিকে অগ্রহণযোগ্য অবনতির দিকে নিয়ে যেতে গুরুতর পদক্ষেপ। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই জো বাইডেন এই মন্তব্য করেন।
এদিকে রাশিয়ার ওপর ষষ্ঠ রাউন্ডের প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের আগে ব্রাসেলসে বৈঠকে বসেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেতারা। তবে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান এ বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না।
এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দোনবাস দখলের অভিযানে অব্যাহত এগিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী। লুহানেস্কের সেভেরোদোনেৎস্কের গভর্নর সেরহি গাইডাই সোমবার এক বিবৃতি বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে খারাপ খবর আছে। শত্রুরা (রুশ সেনা) শহরে প্রবেশ করছে।
সেভেরোদোনেৎস্কে বর্তমানে ‘তীব্র লড়াই হচ্ছে’ বলেও জানান গভর্নর। সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, অতি গোলাবর্ষণের কারণে সেভেরোদোনেৎস্ক শহর রক্ষার দায়িত্বে থাকা ইউক্রেনীয় সেনারা ভেঙে পড়েছে। তারা রণে ভঙ্গ দিয়ে পিছু হটছে। ফলে প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। কিন্তু তারা এখনও আত্মসমর্পণ করেনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি সেভেরোদোনেৎস্কের বিষয়ে বলতে গিয়ে জানান, শহরটি পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে রুশ সেনারা। রোববার রাতের ভাষণে ওই শহরের ৯০ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জেলেনস্কি বলেন, সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ৯০ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সেভেরোদোনেৎস্ক দখল করাই এখন দখলদার রুশ বাহিনীর প্রধান কাজ। আমরা এই শহর ধরে রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। কিন্তু রুশ সেনারা হতাহতের বিষয়টি নিয়ে কোনো চিন্তাই করছে না।
এদিকে ইউক্রেনে একজন ফরাসি সাংবাদিক নিহত হয়ে বলে খবর পাওয়া গেছে। সাংবাদিক নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ওই সাংবাদিকের নাম ফ্রেডেরিক লেক্লার্ক-ইমহফ।
সোমবার এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক ফ্রেডেরিক লেক্লার্ক-ইমহফ যুদ্ধের বাস্তবতা দেখানোর জন্য ইউক্রেনে ছিলেন। রুশ বোমা হামলা থেকে বাঁচতে পালাতে বাধ্য হওয়া বেসামরিকদের সঙ্গে একটি বাসে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।’
সূত্র রয়টার্স