মাদক মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন আরিয়ান। শাহরুখপুত্রের নির্দোষ প্রমাণ হওয়ার
নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো মাদক মামলা থেকে আরিয়ান খানকে মুক্তি দেয়।
শুক্রবার মুম্বাইয়ের প্রমোদতরি মাদক মামলায় চার্জশিট জমা দেয় এনসিবি। গত বছর অক্টোবরে এই ঘটনায় আরিয়ানসহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করে এনসিবি। মাদক সেবন এবং পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে মামলা দায়ের করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু এত মাস পর মামলা থেকে আরিয়ানদের বেকসুর বলে মুক্তি দিলো এনসিবি।
শুক্রবার এনসিবি জানিয়েছে, সিট যেভাবে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে গেছে তাতে প্রমাণের অভাব রয়েছে। সিটের তদন্তের ওপর ভিত্তি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে এবং এনডিপিএস আইনে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়। কিন্তু বাকি ৬ জনের বিরুদ্ধে প্রমাণের অভাবে মামলা দায়ের করা হচ্ছে না।
২০২১ সালের ২ অক্টোবর রাতে মুম্বাই থেকে গোয়াগামী এক প্রমোদতরী থেকে হঠাৎই আটক করা হয় আরিয়ানকে। মাঝরাতে ঘটা ওই কাণ্ডে নড়ে বসে গোটা দেশ। দিনটা ছিল শনিবার। তার পর রোববার গ্রেফতার হন আরিয়ান। নিম্ন আদালত বারবার তার জামিন খারিজ করে দেয়। কিন্তু পরে বম্বে হাইকোর্ট জামিন দেয় আরিয়ানকে। ৩১ অক্টোবর আর্থার রোড জেল থেকে বেরিয়ে মন্নতে ফিরে যান আরিয়ান।
ওই ঘটনায় মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল সমীর ওয়াংখেড়ের নেতৃত্বাধীন এনসিবির দল। প্রধান ৩ অভিযুক্ত ছিলেন আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমেচা।
আরিয়ান মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছিল সেই সময়। শাহরুখের ছেলের কাছে ড্রাগস না-থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি গ্রেফতার হলেন তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। এমনকি এনসিবির ঘুস নেওয়ার তথ্যও সামনে উঠে আসছিল।
অনেকেই দাবি করেছিলেন, ফাঁসানো হয়েছে শাহরুখ খানের ২৪ বছরের ছেলেকে।
এর পর এনসিবি কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের ওপর ঘুস নেওয়ার অভিযোগ উঠলে আরিয়ানের মামলা তুলে দেওয়া হয় এনসিবির সিট টিমের ওপর। সঙ্গে বম্বে হাইকোর্টের তরফে শাহরুখের ছেলেকে রেহাই দেওয়া হয় সাপ্তাহিক হাজিরা থেকে। ঠিক হয় প্রয়োজন পড়লেই এনসিবি ডেকে পাঠাবে আরিয়ানকে।
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস