স্বচ্ছ নির্বাচন নিয়ে কথা বলার অধিকার বিএনপির নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আজকে বিএনপি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে, কিন্তু তাদের নির্বাচনের ইতিহাস এতটা কলুষিত যে, তাদের এই নিয়ে কথা বলার কোনো অধিকারই নাই। কোন মুখে তারা বলে।’
বুধবার বিকেলে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হয়ে বিএনপির নির্বাচনব্যবস্থার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,
‘ঢাকা-১০ এ ফালু (মোসাদ্দেক আলী ফালু) ইলেকশন করেছিল, যে ইলেকশনের চিত্র সবার নিশ্চই মনে আছে। মাগুরা ইলেকশন হয়-যে ইলেকশন নিয়েই আন্দোলন করে আমরা খালেদা জিয়া উৎখাত করেছি। মিরপুর ইলেকশন-প্রত্যেকটা নির্বাচনের চিত্রই আমরা দেখেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৭ সালের ‘হ্যাঁ-না’ ভোট, ’৭৮ এর রাষ্ট্রপতি এবং ’৭৯ এর সাধারণ নির্বাচন, ’৮১ এর নির্বাচন প্রত্যেকটা নির্বাচনই আমাদের দেখা। পাশাপাশি, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের কথাও আমরা ভুলিনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমানে নির্বাচনব্যবস্থার যে উন্নয়ন সেগুলো আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত এবং চিন্তা চেতনার বাস্তবায়ন। ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং ইভিএম ব্যবস্থা বলবৎ করা আমাদের অবদান। এসবের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার আবার জনগণের কাছেই ফিরিয়ে দিয়েছে।’
আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল এবং দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে গেলেও তথাকথিত বুদ্ধিজীবী শ্রেণী মিডিয়াতে ঢালাও সমালোচনা করে বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
দীর্ঘ বক্তৃতায় আওয়ামী লীগ সভাপতি নেতাকর্মীদের কাছে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দিতে না পারায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আসলে করোনাভাইরাস বন্দী করে রেখে দিয়েছে আমাকে। ২০০৭ সালে ছিলাম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে বন্দী। এখন আমি নিজের হাতে নিজে বন্দী।’
বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদাকে অক্ষুণ্ণ করে সরকার দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শ মেনে কাজ করার পাশাপাশি দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।