বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশে এক দুর্বিষহ সংকট প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসছে। শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা আরও সঙ্কটাপন্ন। অর্থনৈতিক দুর্দশাগ্রস্ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মানুষ নিরিবিলি কেঁদেও শান্তি পাবে না। দ্রুতগতিতে দেউলিয়াত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশে জনগণের অবস্থা করুণ ও মর্মান্তিক। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আলোর গতিতে দৌড়াচ্ছে। গম আমদানি করা যাচ্ছে না, কারণ রপ্তানিকারক দেশ রপ্তানি বন্ধ করেছে। চালের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি এবং সয়াবিন তেল উধাও হয়ে যাওয়ার পর কয়েকদিনের মধ্যে সাধারণ মানুষের জন্য আটা ক্রয় করা অসম্ভব হবে।
উজানের পানি এবং বাঁধভেঙে বাংলাদেশের এক বিস্তৃত অঞ্চলের ধান তলিয়ে গেছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। পুরো জাতি উৎকণ্ঠা নিয়ে দিনাতিপাত করছে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই সংবাদমাধ্যমকে টার্গেট করে বলে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, কারসাজি করে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেও একই পথে হেঁটেছে দলটি। গত ১৩ বছরে জনপ্রিয় সংবাদপত্র, বেসরকারি টেলিভিশন, অনলাইন নিউজপোর্টাল বন্ধ করে কয়েক হাজার সাংবাদিককে বেকারত্বের মুখে ঠেলে দিয়েছে তারা।
তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পরস্পর শত্রুপক্ষ। এটি স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে যেমন সত্য ছিল, এখনও একই অবস্থা বিরাজমান। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সংবাদপত্র থাকে না। আর সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকলে আওয়ামী লীগ থাকে না।
রিজভী দাবি করেন, দেশে বর্তমানে রেডিও-টিভি কিংবা সংবাদপত্র শুধুমাত্র নিশিরাতের সরকারের প্রেস উইংয়ে পরিণত করার যাবতীয় কার্যক্রম চলে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেস্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, নারায়নগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।