ফ্রান্সের শ্রমমন্ত্রী এলিজাবেথ বর্নিকে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
চলতি বছর এপ্রিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাখোঁর দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ের পর সরকারে ব্যাপক রদবদল আনার আভাস দিয়েছিলেন তিনি। এরই অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী পদে পরিবর্তন আনলেন মাখোঁ। আগামী জুনে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একজন বামপন্থী নেতাকে প্রধানমন্ত্রী পদে যোগ্য মনে করেছেন মাখোঁ।
এই নিয়োগের মধ্য দিয়ে ৩ দশকের বেশি সময় পর দেশটিতে একজন নারী প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের সরকারি দপ্তর এলিসি প্যালেস সোমবার এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এলিজাবেথ বর্নির নিয়োগের বিষয়টি জানায়। ৬১ বছর বয়সী এই নারী রাজনীতিক বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসটেক্সের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
এর আগে সামাজিক সংস্কারে নেয়া দেশটির প্রেসিডেন্টের ঘোষিত প্যাকেজের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ফ্রান্সে। সেই সময় একজন দক্ষ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যান এলিজাবেথ বর্নি। বর্নির কার্যকর পদক্ষেপ আন্দোলন প্রশমনে মাখোঁ সরকারকে বিশেষভাবে সহায়তা করে।
বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, আগামী জুনে ফরাসি পার্লামেন্টে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হবে। এর আগে বামপন্থী জোট ও কট্টর ডানপন্থীরা মাখোঁর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারেন। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিনি একজন নারীকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিলেন। এর মধ্য দিয়ে মাখোঁ সামাজিক সংস্কার বাস্তবায়ন ও নারীদের উন্নয়নে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের বার্তা দেয়ার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডিমানসেকে দেয়া বক্তব্যে ইডিথ ক্রেসন বলেন, ফ্রান্সের রাজনীতি এখনও পুরুষতান্ত্রিক হয়ে আছে। ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হলে নতুন নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রীকে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।’
ফ্রান্সে সর্বশেষ নারী সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এডিথ ক্রেসন। তিনি ১৯৯১ সালের মে মাস থেকে পরের বছরের এপ্রিল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।