জোর করে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করাসহ প্রেসিডেন্টের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে রাজধানী তিউনিসে ব্যাপক বিক্ষোভ করেন দেশটির সাধারণ মানুষ। অবিলম্বে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
সরকারবিরোধী বিক্ষোভ জনসমুদ্রে পরিণত হওয়া তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসে দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের অভিযোগ, চলতি বছরের জুলাইয়ে হঠাৎ করেই প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্তের পাশাপাশি পার্লামেন্ট নিষ্ক্রিয় করে নির্বাহী ক্ষমতা নেন প্রেসিডেন্ট।
ক্ষমতা স্থায়ী করতে সবশেষ সেপ্টেম্বরে ২০১৪ সালের তিউনিসিয়ার সংবিধানের একটি অংশ বাদ দিয়ে নিজেকে সব ক্ষমতার অধিকারী ঘোষণা দিয়ে রুল জারি করেন কাইস সাইদ।
প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ। অবিলম্বে গণতান্ত্রিক ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানান তারা।
একজন আন্দোলনকারী বলেন, আমরা গণতন্ত্র ফিরে পেতে চাই। এর শেষ আমরা দেখে ছাড়বো। আমরা প্রয়োজনে জেলে যেতেও প্রস্তুত।
প্রতিটা দেশ কোভিডের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু কেউ গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়নি।
স্থানীয় নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের বিভিন্ন পদক্ষেপ বিপুল জনপ্রিয়তা পেলেও সংবিধান অনুযায়ী তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে অভ্যুত্থানের সঙ্গে তুলনা করছেন দেশটির আইন বিশ্লেষকরা। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছেন সাইদ। প্রেসিডেন্টকে স্বৈরশাসক আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করেন বিক্ষুব্ধরা।
দেশটির বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ও ছাত্ররাও প্রেসিডেন্ট বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন। আন্দোলনে যোগ দেন দেশটির পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকারও।
এর আগে গেল সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ জনের বেশি বেসামরিক মানুষকে সামরিক আদালতের মাধ্যমে বিচার করা হয়েছে। দিন দিন এ সংখ্যা বাড়তে থাকায় উদ্বেগ জানায় সংস্থাটি।