ভারতের বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব রাজ্য ইউনিটে অন্তর্দ্বন্দ্বের মধ্যে পদত্যাগ করেছেন। আগামী বছর ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তার আগেই পদত্যাগ করলেন তিনি।
বিপ্লব কুমার দেব ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার রাজভবনে রাজ্যপাল এস এন আর্যর সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
এছাড়া, গত বৃহস্পতিবার বিপ্লব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি গিয়েছিলেন।
ত্রিপুরার আদিবাসী পিপলস ফ্রন্টের সঙ্গে বিজেপি জোটে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে সেখানকার রাজনীতির এই নাটকীয় মোড়।
পিটিআইর খবরে বলা হয়, ভারতের উত্তরপূর্বের এই রাজ্যটিতে নির্বাচনের আগে দিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতাদের মধ্যে দলীয় কিছু বিষয় নিয়ে মতভেদের সৃষ্টি হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
২০১৮ সালে বিজেপি ত্রিপুরা দখলের পরে বিপ্লবকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হন জিষ্ণুদেব ভর্মা।
পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের জন্য বিজেপি বিধায়করা শিগগির বৈঠকে বসবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রবীণ বিজেপি নেতা ভূপেন্দ্র যাদব।
উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণুদেব ত্রিপুরার রাজপরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। বিপ্লবের পদত্যাগপত্র গৃহিত হলে বাকি সময়ে জন্য জিষ্ণুদেব মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করবে বলেও শোনা যাচ্ছে।
তবে ত্রিপুরার বিজেপি নেতা প্রতিমা ভৌমিক বর্তমানে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের মন্ত্রী। তিনিও মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশেই বিপ্লব পদত্যাগ করে থাকে পারেন বলে ধারণা করছে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার।
আগরতলায় বিপ্লব কুমার দেব সাংবাদিকদের বলেন, দল সবার ওপরে। আমি বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী। আমি মনে করি, আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তার প্রতি আমি সুবিচার করেছি। আমি ত্রিপুরার সামগ্রিক উন্নয়ন এবং রাজ্যের জনগণের জন্য শান্তি নিশ্চিত করতে কাজ করেছি।
বিপ্লব কুমার সাংবাদিকদের আরো বলেন, ‘‘দল আমাকে যেখানে যে কাজের জন্য ভাববে আমি তাতেই রাজি আছি।”
২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বামফ্রন্টের ২৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে দেবকে মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়েছিল।