নাৎসি জার্মানির বিপক্ষে সোভিয়েত ইউনিয়নের জয়ের ৭৭তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের দিন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা বিশ্বের কাছে ‘প্রলয় সংকেত’ পাঠাবেন বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার রেড স্কয়ারে ট্যাংক, রকেট ও আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইলে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীর ১১ হাজার সৈন্যের সামনে বক্তৃতা দেবেন পুতিন।
এসময় সেন্ট ব্যাসিলস ক্যাথিড্রালের ওপর দিয়ে উড়ে যাবে সুপারসনিক ফাইটার জেট, টু-১৬০ স্ট্র্যাটেজিক বোমারু বিমান ও ইল-৮০ ‘ডুমসডে’ কমান্ড বিমান। পারমাণবিক যুদ্ধ হলে এই ডুমসডে বিমান রাশিয়ার আক্রমণের নেতৃত্ব দেবে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইল-৮০ বিমানটিকে তৈরি করা হয়েছে পুতিনের ভ্রাম্যমাণ কমান্ড সেন্টার হিসেবে। এটি নানা আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত হলেও, ঠিক কী কী প্রযুক্তি এতে ব্যবহার করা হয়েছে তা এখনও রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য। এই ডুমসডে বিমানকেই পুতিনের ‘কেয়ামতের সতর্কবার্তা’ বলা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউক্রেন যুদ্ধকে বরাবরই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের ওপর নাৎসি বাহিনীর আক্রমণের সাথে তুলনা করে আসছেন পুতিন। ইউক্রেনের রুশ ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীকে ‘নাৎসি’দের হাত থেকে রক্ষার জন্যই ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ পরিচালনা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
ইউক্রেন আক্রমণের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা বিশ্বের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার জবাবে এই অনুষ্ঠানে নিজেদের সামরিক ক্ষমতার প্রদর্শনী করবে রাশিয়া।