আগামী ৯ মে রাশিয়ার বিজয় দিবসেই ইউক্রেনে আনুষ্ঠানিক ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করতে পারে পুতিন, ধারণা করছেন পশ্চিমা কর্মকর্তারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনে তাদের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।
এ বিষয়ে গত সপ্তাহে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস এলবিসি রেডিওকে বলেন, আমি মনে করি তিনি (পুতিন) তার ‘বিশেষ অভিযান’ থেকে সরে আসার চেষ্টা করবেন। তার অবস্থান পরিবর্তন করছেন।
ইউরোপীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থার মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইকে কার্পেন্টার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ‘অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য’ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে রয়েছে যে রাশিয়া মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে লুহানস্ক ও ডোনেস্ককে যুক্ত করতে পারে। পাশাপাশি ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খেরসনকে ‘গণপ্রজাতন্ত্র’ ঘোষণা ও সংযুক্তেরও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে মস্কো।
পশ্চিমা কর্মকর্তা ও সিএনএনের এমন আভাসে ক্রেমলিনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ডনবাস অঞ্চলের লুহানস্ক, ডোনেস্ক ও খেরসনের বেশিরভাগ জায়গায়ই রুশ বাহিনী নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। সেখানকার বেসামরিক ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করে যাচ্ছে রাশিয়া। মারিউপোলের পরিস্থিতিও একই।
ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত দেশটিতে তিন হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দফতর (ওএইচসিএইচআর)। এ অবস্থায় যুদ্ধ বন্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বার বার আহ্বান জানিয়ে আসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক’ অভিযানে নামে রাশিয়ার বিশাল সামরিক বহর। সেই থেকে দেশটিতে হামলা অব্যাহত আছে।