বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার চীনের অকৃত্রিম বন্ধু। দুই দেশের মধ্যে একটি সংযোগ সেতু তৈরি করে দ্রুত সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে চীন।
চীনের রাষ্ট্রদূত আজ বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চীনের দেয়া চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে কক্সবাজার সফর করে প্রকৃত অবস্থা দেখছি এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের উপায় খুজাঁর চেষ্টা করছি। তিনি বলেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন সব সময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।
তিনি বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ যে উদার মানবিকতা দেখিয়েছে তা নজিরবিহীন। স্থানীয়রা অনেক সমস্যার ভিতরে থেকেও রোহিঙ্গাদের স্থান করে দিয়েছে। আমি তাদের এই মানসিকতাকে অত্যন্ত সম্মান করি।
লি জিমিং বলেন, দুই বছর আগে আমি কক্সবাজার সফর করেছি। কিন্তু এবারের সফরে অনেক পার্থক্য অনুভব করছি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এখানে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগণের জন্য চীন সরকার গভীর ভাবে চিন্তা করে। তাই এই উভয় জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী অনুদান হিসাবে দিয়েছে তাঁর সরকার।
চীন সরকারের দেয়া এসব চিকিৎসা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে এক্সরে মেসিন, বায়ো কেমেষ্ট্রি এনালাইজার, মাইক্রোস্কোপ, সেন্টিফগ মেসিন, ডেন্টাল চেয়ার ও দন্ত বিভাগের নানা সরঞ্জাম, এন্ডোস্কোপ মেসিন, নেভোলাইজার মেসিনসহ বিভিন্ন সামগ্রী। এসব চিকিৎসা সামগ্রী কক্সবাজার সদর হাসপাতাল কতৃপক্ষের কছে হস্তান্তর করেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্বাবাধায়ক ডা, মোমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজুয়ান হায়াত, জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ, জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি ড. এলেন মাইনা বক্তব্য রাখেন।
সূত্র বাসস