মিয়ানমারের সামরিক জান্তা গৃহবন্দি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
আদালতে ৭৬ বছর বয়সী সু চির বিরুদ্ধে নগদ ৬ লাখ মার্কিন ডলার এবং সোনার বার ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মোট ১১টি মামলা চলছে। এর মধ্যে প্রথমটিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাদণ্ড পেলেন। গণতন্ত্রপন্থি এই নেত্রীর কারাদণ্ডের রায়ের ব্যাপারে জানেন এমন একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় এক ডজনের বেশি মামলা দায়ের করেছে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী দেশটির জান্তা সরকার। এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে ১৮টি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। রাজধানী নেইপিদোর জান্তানিয়ন্ত্রিত আদালতেই সেসব মামলার বিচার চলছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের হওয়া সবগুলো মামলায় যদি সু চি দোষী সাব্যস্ত হন, সেক্ষেত্রে সবমিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৯০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ হতে পারে। সু চি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ বরাবরই মিথ্যা বলে দাবি করে এসেছেন।
রয়টার্স বলছে, বুধবার রাজধানী নেইপিদোর আদালতে কার্যক্রম শুরু হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই অং সান সু চির বিরুদ্ধে বিচারক রায় ঘোষণা করেন।
বার্তা সংস্থাটির দাবি, নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সূত্রটি রয়টার্সকে এই তথ্য দিয়েছে। কারণ বন্ধ দরজার পেছনে এই বিচার কার্যক্রম চলছে এবং সঙ্গত কারণেই সেখান থেকে তথ্য প্রকাশের বিষয়ে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।